নতুন ছবি দিয়ে রুনা লিখলেন, শুধুই হাসুন

নয়াবার্তা প্রতিবেদক : আগামী জানুয়ারিতে ৪০–এ পা দেবেন অভিনয়শিল্পী রুনা খান। ৪০ ছুঁই ছুঁই এই অভিনয়শিল্পী শারীরিক গঠন বদলে রীতিমতো সবাইকে চমকে দিয়েছেন। ৩৯ কেজি ওজন কমানোর পর একের পর এক ফটোশুটে অংশ নিচ্ছেন এই অভিনয়শিল্পী। শাড়ি ও আধুনিক পোশাকে ফটোশুটে অংশ নেওয়া রুনা প্রতিনিয়ত চমকে দিচ্ছেন সবাইকে। গতকাল রোববার নতুন কয়েকটি স্থিরচিত্র প্রকাশ করেছেন। একনজরে দেখে নেওয়া যাক নতুন লুকে এই অভিনয়শিল্পীকে—

অভিনয়শিল্পী রুনা খান একজন স্বপ্নবাজ মানুষ। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অভিনয় করে যেতে চান। ভালো কাজের স্বপ্ন দেখেন। ভিন্ন ধরনের চরিত্রের প্রতি তাঁর লোভ সব সময়। তিনি জানান, তাঁর কাজ তাঁকে কখনো সন্তুষ্ট করে না। তবে বিভিন্ন সময় শুটিং সেটে অন্যদের কাছে নিজের অভিনয়ের প্রশংসা শুনেছেন।

অভিনয়শিল্পী রুনা খান একজন স্বপ্নবাজ মানুষ। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অভিনয় করে যেতে চান। ভালো কাজের স্বপ্ন দেখেন। ভিন্ন ধরনের চরিত্রের প্রতি তাঁর লোভ সব সময়। তিনি জানান, তাঁর কাজ তাঁকে কখনো সন্তুষ্ট করে না। তবে বিভিন্ন সময় শুটিং সেটে অন্যদের কাছে নিজের অভিনয়ের প্রশংসা শুনেছেন।

মোশাররফ করিমের মতো বড় মাপের অভিনয়শিল্পীও একাধিকবার অন্যদের কাছে রুনা খানের অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। রুনা খান বলেন, ‘৩০ জনের বেশি সহকর্মী আমাকে শুটিংয়ের সময় জানিয়েছেন, মোশাররফ করিম আমার অভিনয় পছন্দ করেন। আমার আড়ালে সেই প্রশংসা আমার কাজের অনুপ্রেরণা জোগায়। আমরা অনেক পুরোনো সহকর্মী। অনেক আগে থেকে আমরা একসঙ্গে কাজ করি। সামনে কখনো মোশাররফ ভাই কিছু বলেন নাই। কেউ সামনাসামনি ভালো কিছু বললে আমি লজ্জায় পড়ে যাই। কী বলব কিছু বুঝতে পারি না। তখন প্রচণ্ড লজ্জা লাগে।

ছোট ও বড় পর্দার অভিনয়শিল্পী রুনা খান মাছে-ভাতে বাঙালি। যেকোনো সাধারণ বাঙালির মতো তিনি ভাত-মাছ খেতে ভালোবাসেন। মাছের মধ্যে ইলিশ তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। ইলিশের বিভিন্ন পদের ভেতর তাঁর সবচেয়ে প্রিয় দোপেঁয়াজি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খাবার চেখে দেখার সুযোগ হয়েছে তাঁর। থাই, চায়নিজ, জাপানিজ, ইতালীয়, মোগলাই—নানা দেশের নানান পদ খেয়েছেন রুনা। তবে সব খাবারের মধ্যে ভাতই তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। এক বছর ধরে অবশ্য এই খাবারে এনেছেন পরিবর্তন
ছোট ও বড় পর্দার অভিনয়শিল্পী রুনা খান মাছে-ভাতে বাঙালি। যেকোনো সাধারণ বাঙালির মতো তিনি ভাত-মাছ খেতে ভালোবাসেন। মাছের মধ্যে ইলিশ তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। ইলিশের বিভিন্ন পদের ভেতর তাঁর সবচেয়ে প্রিয় দোপেঁয়াজি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খাবার চেখে দেখার সুযোগ হয়েছে তাঁর। থাই, চায়নিজ, জাপানিজ, ইতালীয়, মোগলাই—নানা দেশের নানান পদ খেয়েছেন রুনা। তবে সব খাবারের মধ্যে ভাতই তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। এক বছর ধরে অবশ্য এই খাবারে এনেছেন পরিবর্তন।

খেতে পছন্দ করলেও নিজে রান্না খুব একটা পারেন না। তবে রুনার কাছে তাঁর মায়ের হাতের রান্না সবচেয়ে প্রিয়। মা যা রান্না করেন, তা-ই তাঁর ভালো লাগে। রুনা বলেন, ‘আমি রান্নাটা মন দিয়ে শেখার সময় পাইনি। কলেজে পড়ার সময় থেকে থিয়েটার করি। বিশ্ববিদ্যালয়জীবন আর ক্যারিয়ার একসঙ্গে শুরু হয়েছে। তবে আমি যা-ই রান্না করি, আমার মেয়ে ও মেয়ের বাবা তা পছন্দ করে
খেতে পছন্দ করলেও নিজে রান্না খুব একটা পারেন না। তবে রুনার কাছে তাঁর মায়ের হাতের রান্না সবচেয়ে প্রিয়। মা যা রান্না করেন, তা-ই তাঁর ভালো লাগে। রুনা বলেন, ‘আমি রান্নাটা মন দিয়ে শেখার সময় পাইনি। কলেজে পড়ার সময় থেকে থিয়েটার করি। বিশ্ববিদ্যালয়জীবন আর ক্যারিয়ার একসঙ্গে শুরু হয়েছে। তবে আমি যা-ই রান্না করি, আমার মেয়ে ও মেয়ের বাবা তা পছন্দ করে।

এক যুগ আগে রুনা খানের ওজন ছিল ৫৬ কেজি। ২০০৯ সালে তাঁর বিয়ে হয়। পরের বছরই সন্তান রাজেশ্বরীর জন্ম। একসময় রুনার ওজন ৯৫ কেজিতে গিয়ে ঠেকে। সন্তান জন্মের এক বছর পর, মানে ২০১১ সাল থেকে ওজন কমানোর মিশন শুরু করেন রুনা। কিন্তু কোনোভাবে পারছিলেন না, একপর্যায়ে ওজন আরও বেড়ে হয় ১০৫ কেজি। ওজন কমাতে ধানমন্ডির একাধিক জিম ও প্রশিক্ষকের শরণাপন্ন হন তিনি। শুরু করেন সাঁতার। ভর্তি হন ইয়োগা ও অ্যারোবিকস ক্লাসে। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া শুরু করেন। কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। একপর্যায়ে সবকিছু ছেড়ে দেন। হতাশা, মানসিক অবসাদসহ নানা সমস্যা পেয়ে বসে। তবে রুনা খানের ওজন এখন ৬৬ কেজি। এক বছর আগেও যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা এখনকার রুনা খানকে দেখে চমকে যান। এক বছরে ৩৯ কেজি ওজন কমিয়ে পুরোপুরি বদলে নিয়েছেন নিজেকে। তবে সবাই এক বছরের বদলে যাওয়া রুনা খানকে দেখলেও এটি আসলে তাঁর ১০ বছরের একটা কষ্টকর ভ্রমণ ছিল বলে জানান তিনি।

এক যুগ আগে রুনা খানের ওজন ছিল ৫৬ কেজি। ২০০৯ সালে তাঁর বিয়ে হয়। পরের বছরই সন্তান রাজেশ্বরীর জন্ম। একসময় রুনার ওজন ৯৫ কেজিতে গিয়ে ঠেকে। সন্তান জন্মের এক বছর পর, মানে ২০১১ সাল থেকে ওজন কমানোর মিশন শুরু করেন রুনা। কিন্তু কোনোভাবে পারছিলেন না, একপর্যায়ে ওজন আরও বেড়ে হয় ১০৫ কেজি। ওজন কমাতে ধানমন্ডির একাধিক জিম ও প্রশিক্ষকের শরণাপন্ন হন তিনি। শুরু করেন সাঁতার। ভর্তি হন ইয়োগা ও অ্যারোবিকস ক্লাসে। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া শুরু করেন। কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। একপর্যায়ে সবকিছু ছেড়ে দেন। হতাশা, মানসিক অবসাদসহ নানা সমস্যা পেয়ে বসে। তবে রুনা খানের ওজন এখন ৬৬ কেজি। এক বছর আগেও যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা এখনকার রুনা খানকে দেখে চমকে যান। এক বছরে ৩৯ কেজি ওজন কমিয়ে পুরোপুরি বদলে নিয়েছেন নিজেকে। তবে সবাই এক বছরের বদলে যাওয়া রুনা খানকে দেখলেও এটি আসলে তাঁর ১০ বছরের একটা কষ্টকর ভ্রমণ ছিল বলে জানান তিনি।

‘হাসি আত্মার সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য। তাই শুধুই হাসুন।’ এমন ক্যাপশন দিয়ে সম্প্রতি রুনা খান তাঁর কয়েকটি স্থিরচিত্র ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। ফেসবুকে এসব স্থিরচিত্র পোস্ট করার পর থেকে সবাই তাঁর নতুন লুকের প্রশংসা করছেন।

‘হাসি আত্মার সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য। তাই শুধুই হাসুন।’ এমন ক্যাপশন দিয়ে সম্প্রতি রুনা খান তাঁর কয়েকটি স্থিরচিত্র ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। ফেসবুকে এসব স্থিরচিত্র পোস্ট করার পর থেকে সবাই তাঁর নতুন লুকের প্রশংসা করছেন।

৪০ বছর বয়সী অভিনয়শিল্পী রুনা খানের এই বদলে যাওয়ার পেছনে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। মুটিয়ে যাওয়ার কারণে কখনো হতাশও হয়ে পড়েছিলেন। ২০১৯ সালে এসে রুনা টের পেলেন, এত দিন যাদের জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ বন্ধু মনে করেছিলেন; দিনের পর দিন, বছরের পর বছর তাঁদের দ্বারা তিনি মানসিকভাবে নির্যাতিত ও নিপীড়িত হয়েছেন। তাই সিদ্ধান্ত নেন তাঁকে টক্সিক মানুষের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে। করলেনও তা–ই। এরপর সুফল ভোগ করতে লাগলেন। ওজন কমাতে তাঁকে যেতে হয়নি জিমে। এমনকি কোনো পুষ্টিবিদের কাছ থেকে টাকা খরচ করে খাবার নিতে হয়নিছবি : রুনা খানের সৌজন্যে

ওজন কমানোর মিশনে নামার আগে দুই দশকের কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গ ত্যাগ করার কারণে বড় ধরনের ট্রমায় যেমন রুনা খান পড়েছেন, তেমনি এই এক বছরের জার্নিতে নতুন কিছু বন্ধু পাশে পেয়েছেন, যাঁরা তাঁর জীবনে আশীর্বাদস্বরূপ। রুনা খানের ভাষায়, ‘দে ব্রিং হ্যাপিনেস ইন মাই লাইফ
ওজন কমানোর মিশনে নামার আগে দুই দশকের কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গ ত্যাগ করার কারণে বড় ধরনের ট্রমায় যেমন রুনা খান পড়েছেন, তেমনি এই এক বছরের জার্নিতে নতুন কিছু বন্ধু পাশে পেয়েছেন, যাঁরা তাঁর জীবনে আশীর্বাদস্বরূপ। রুনা খানের ভাষায়, ‘দে ব্রিং হ্যাপিনেস ইন মাই লাইফ।

Share