ফাঁদে ফেলে কলেজছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক, যুবক গ্রেপ্তার

নিজস্ব জেলা প্রতিবেদক : প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীর (১৮) সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে নাঈম উদ্দিন (২২) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার নাঈম বান্দরবানের লামা উপজেলার কেদারবাদ গ্রামের মৃত নাছির উদ্দিন এর ছেলে মোঃ নাঈম উদ্দিন।

পুলিশ জানায়, চকরিয়া উপজেলার একটি কলেজের একাদশ শ্রেণীতে পড়ুয়া ১৮ বছর বয়সী ওই ছাত্রীর সঙ্গে বিগত তিন বছর পূর্বে নাঈমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই প্রেমের সম্পর্কের সুবাধে প্রেমিক নাঈমের সাথে কলেজ ছাত্রী প্রেমিকার প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোনে কথাবার্তা হতো। প্রায় সময় প্রেমিকের ছোটখাটো আবদার পূরণ করতো প্রেমিকা।

একসময় প্রেমিক নাঈম প্রেমিকার কাছে তার একান্ত ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও চায়। সরল বিশ্বাসে ভিডিও কলে নাঈমের সামনে আসে কলেজ ছাত্রী প্রেমিকা। সেই সুযোগে নাঈম তার আপত্তিকর কিছু মোবাইল স্কীনশট ও মোবাইল স্কীন ভিডিও ধারণ করে।

এক পর্যায়ে নাঈম প্রেমিকার সাথে একান্তে দেখা করতে চায়। ২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার সময় নাঈম বান্দরবানের লামা থেকে চকরিয়া আসে এবং স্থানীয় লোকজনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রেমিকার শোবার ঘরে ঢুকে। রাতে প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং তা তার ব্যক্তিগত মোবাইলে রেকর্ড করে রাখে।ভোর হওয়ার আগেই নাঈম বান্দরবান চলে যায়।

এরপর থেকে নাঈমের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে প্রেমিকা কল করলে নাঈম আর কল রিসিভ করে না।
পরবর্তীতে ফোন কল রিসিভ করলেও নাঈম তাকে তার মোবাইলে কল দিতে নিষেধ করে এবং কল দিলে তাদের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল করে দিবে বলে হুমকি দেয়।

এরপর গত ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখ নাঈম ‘রিপা আক্তার’ (ছদ্ম নাম) নামে একটি ফেইক ফেসবুক আইডি খুলে প্রেমিকার আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে যা ভাইরাল হয়ে যায়।

ভিকটিম ছাত্রীর মা বিষয়টি জানতে পেরে চকরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। চকরিয়া থানা পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করে এবং এর পরপরই শুরু হয় এজাহারভুক্ত আসামি নাঈমকে গ্রেপ্তারে অভিযান।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ই জুন রাত ৮টার সময় চকরিয়া থানা পুলিশ চকরিয়া থানাধীন বরইতলী ইউনিয়নের বানিয়াছড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত প্রতারক প্রেমিক মোঃ নাঈম উদ্দিন (২২) গ্রেপ্তার করে এবং তার হেফাজত হতে উপরোক্ত ঘটনায় ব্যবহৃত একটি স্মার্টফোন জব্দ করে। যার মধ্যে আলামত সংরক্ষিত ছিল।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মুহাম্মদ জোবায়ের বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন তৎসহ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Share