নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : ঈদ যাত্রায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে যানবাহন পারাপারে অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। মঙ্গলবার (১১ মে) সকাল ৬ টা থেকে বুধবার (১২ মে) সকাল ৬ টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ৫২ হাজার যানবাহন পারাপার করেছে। এর আগে গত বছর ঈদ যাত্রায় সর্বোচ্চ ৩৩ হাজার যানবাহন পারাপার হয়।
এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঈদ যাত্রায় ঘরে ফেরা মানুষের চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে। আর অতিরিক্ত গাড়ির চাপে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে মহাসড়কের করটিয়া পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকায় খণ্ডখণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মহাসড়কে গাড়ির চাপে থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে। দূর পাল্লার গণপরিবহন ছাড়াও পণ্যবাহী ট্রাক, খালি ট্রাক, খোলা পিকআপ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, লেগুনা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে গন্তব্যে যাবার চেষ্টা করছেন তারা।
মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে রয়েছে মানুষের জটলা। তারা অপেক্ষা করছেন যেকোন যানবাহনের জন্য। তীব্র গরমে অসুস্থ্য হয়েও পরছেন কেও কেও। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে বসানো হয়েছে পুলিশ বক্স। তারা যানবাহন সচল রাখতে সহযোগিতা করছেন। রাস্তায় পুলিশি হয়রানিরও অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই আবার ঈদের মৌসুমে দূরপাল্লার গাড়ি বন্ধ রাখার সমালোচনা করছেন। সব মিলিয়ে এবারের ঈদযাত্রা খুবই দুঃসহ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে পিকআপ ভ্যানে করে আসা লালমনিরহাটের অধিবাসী মো. সোলাইমন মিয়া। করোনার কারণে গত বছরও স্বজনদের নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ঈদ পালন করতে পারেননি তিনি। তাই এবার কষ্ট করে আসা। একই অবস্থা অনেকেরই।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, মহাসড়কে গাড়ির ব্যাপক চাপ রয়েছে। তবে গাড়ি কোথাও থেমে নেই। ৫ কিলোমিটার গতিতে সড়কে যানবাহন চলাচল করছে।