নয়াবার্তা প্রতিনিধি : নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের তিন কন্যা সন্তানের জননী ইয়াছমিন আক্তার। ছেলে সন্তানের আশায় চতুর্থবারও গর্ভধারণ করেছিলেন। আর্থিক অনটনের কারণে প্রসবব্যথা শুরু হলে বাসেই রওয়ানা হন চট্টগ্রাম মেডিকেলের উদ্দেশে। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই ব্যথা চরম আকার ধারণ করলে চালক বাসসহ যাত্রীকে নিয়ে কাছাকাছি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকে পড়েন। সেখানে যাওয়া মাত্রই জন্ম হয় এক ফুটফুটে কন্যা সন্তানের!
রোববার (২ এপ্রিল) বিকাল পৌনে ৫টার দিকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। এর আগেও করোনার সময়ে এক গর্ভবতী নারীকে একইভাবে বাসের যাত্রীসহ চালক হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে আরেকটি শিশুর জম্ম হয়। বাসটিতে ২৫-৩০ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে।
প্রসূতি ইয়াছমিন আক্তার বলেন, প্রসবের তারিখ জানা ছিল না। ৪-৫ দিন ধরে অসুস্থবোধ করছিলেন। রোববার দুপুরে বেশি খারাপ লাগছিল। তার মা ও আত্মীয়-স্বজন প্রথমে তাকে চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরিস্থিতি অবনতি হলে চিকিৎসকরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু কোনো অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে না পারায় বাসেই চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
ইয়াছমিন আক্তার কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার আবদুস শুক্কুরের স্ত্রী। তিনি সাগরে মাছ ধরার কাজ করেন।
পটিয়া হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক সাদিয়া সারিন বলেন, আর একটু দেরি হলে বাসেই সন্তান প্রসব হয়ে যেত। এ সময় পুরুষ যাত্রীরা দ্রুত সরে পড়েন এবং নারী যাত্রীরা প্রসূতির সাহায্যে এগিয়ে আসেন। মা ও শিশু সুস্থ আছে।
পটিয়া হাসপাতালের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথ বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে হওয়ায় এ ধরনের রোগী ছাড়াও অনেক দুর্ঘটনার রোগী এখানে আকস্মিক চলে আসেন। তখন সীমিত জনবল দিয়ে হলেও তাদের সেবা দেওয়া হয়।