নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মিথ্যাচার করে তাদের নিজেদের প্রতি জনগণের আস্থা এমনভাবে কমিয়ে ফেলেছে যে তারা এখন সত্য কথা বললেও জনগণ বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি প্রতিটি বিষয় নিয়ে মিথ্যাচারের মাধ্যমে অপপ্রচারে লিপ্ত থাকে। তারা জনগণের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তারা সত্য কথা বললেও জনগণ তা বিশ্বাস করে না।
মিথ্যাবাদী রাখাল বালকের সঙ্গে বিএনপির নেতাদের তুলনা করে সেতুমন্ত্রী কাদের আরো বলেন, বিএনপির অবস্থা বর্তমানে মিথ্যাবাদী রাখাল বালকের মতো অবস্থা হয়েছে। তারা বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বললেও জনগণ তা মিথ্যা বলে মনে করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত র্যালী পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওছারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ এমপির পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপির নেতাদের অভিযোগের জবাবে বলেন, বিএনপির নেতারা আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন তাদের নেত্রীর জন্য হা-হুতাশ করছে।
তিনি বলেন, তার (বেগম জিয়া) স্বাস্থ্য যতটা না খারাপ তার চেয়ে বেশি তারা অপপ্রচার করছে। তারা তার মুক্তির জন্য কোন আন্দোলন করতে পারে নি। এখন মিথ্যাচারই তাদের একমাত্র পুঁজি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখন গুজবের কারখানা। তারা সেখান থেকে অপপ্রচার চালাচ্ছে, গুজব রটাচ্ছে। গুজব ছড়িয়ে মানুষকে পিটিয়ে মারার পেছনেও বিএনপির নেতাদের হাত আছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। একটি মহল দেশের মধ্যে ও দেশের বাইরে গুজব আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে।