নয়াবার্তা ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ৪৩ ধাপ পিছিয়েছে। ২০২২ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৪। আর ২০২৩ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৮ । সম্প্রতি প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৩’ তালিকা বিশ্লেষনে এই তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্বের সবচেয়ে সুখী তালিকায় ১৩৭ দেশের মধ্যে টানা ৬ বছর শীর্ষে রয়েছে ফিনল্যান্ড। এছাড়া, এই তালিকায় শীর্ষ ১০ এ রয়েছে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন ও নরওয়ে।
এশিয়ার দেশগুলোর মাঝে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে সিঙ্গাপুর (২৫)। এ ছাড়াও তালিকায় রয়েছে আরব আমিরাত (২৬), তাইওয়ান (২৭), সৌদি আরব (৩০), বাহরাইন (৪২), জাপান (৪৭), মালয়েশিয়া (৫৫), দক্ষিণ কোরিয়া (৫৭), থাইল্যান্ড (৬০), মালদ্বীপ (৬৩), চীন (৬৪) ও ফিলিপাইন (৭৬)।
২০২২ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৪। প্রতিবেশী দেশগুলোর মাঝে তালিকায় স্থান পেয়েছে নেপাল (৭৮), পাকিস্তান (১০৮), ভারত (১২৬), মিয়ানমার (১১৭) ও শ্রীলঙ্কা (১১২)।
তালিকায় সবচেয়ে নিচে আছে আফগানিস্তান (১৩৭)। এর এক ধাপ ওপরে লেবানন (১৩৬)।
এ প্রতিবেদনে সবচেয়ে সুখী দেশ নির্ধারণের জন্য ৬টি সূচক যাচাই করা হয়। এই সূচকগুলো হলো—মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি), সামাজিক সহায়তা, সুস্থ জীবনযাপনের প্রত্যাশা, জীবনযাপনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা, বদান্যতা, দুর্নীতি নিয়ে মনোভাব ও ডিসটোপিয়া।
ডিসটোপিয়া হচ্ছে একটি কাল্পনিক দেশ, যেখানে পৃথিবীর সবচেয়ে অসুখী মানুষরা বসবাস করেন—অর্থাৎ, এই ৬ সূচকে ডিসটোপিয়ার চেয়ে কোনো দেশ খারাপ অবস্থায় থাকতে পারে না। এটি মূলত মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ, এই ডিসটোপিয়ার চেয়ে অন্য দেশগুলো কতটুকু ভালো অবস্থায় আছে, তার সঙ্গে তুলনায় সূচক থেকে প্রাপ্ত পয়েন্ট গণনা করা হয়।
এবারের প্রতিবেদনের অন্যতম উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—’বদান্যতা’ সূচকের উন্নতি। সার্বিকভাবে করোনাভাইরাস পূর্ব পরিস্থিতির চেয়ে বদান্যতা ২৫ শতাংশ বেড়েছে।
এ প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক জন হেলিওয়েল মন্তব্য করেন, ‘২০২১ সালে অন্যদের প্রতি বদান্যতা দেখানোর সূচকে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন দেখা যায়, যা ২০২২ সালেও অব্যাহত থেকেছে।’
প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ, সবচেয়ে দুঃখী দেশ ও এর মধ্যের সব দেশ চিহ্নিত করা হয়। এর পাশাপাশি, কোন বিষয়গুলো মানুষের জীবনে সুখ এনে দেয়, সেগুলোও খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয় এই সমীক্ষার মাধ্যমে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ২ পক্ষের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হলেও এখনো দেশ ২টি শীর্ষ ১০০ দেশের তালিকায় রয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের অবস্থান যথাক্রমে ৭০ ও ৯২।