ব্যবসায়ী নেতাকে পেটালেন কাউন্সিলরের অনুসারীরা

নয়াবার্তা প্রতিবেদক : রাজধানীর গুলিস্তানের জাকের সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফিরোজ আহমেদকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলরের অনুসারীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মার্কেট দখলের চেষ্টায় বাধা দেওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আউয়াল হোসেনের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। তবে পুলিশ ও অভিযুক্ত কাউন্সিলর বলছেন ভিন্ন কথা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত ফিরোজ আহমেদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।

লালবাগ পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) জাফর হোসেন বলেন, কাউন্সিলরের লোকজন জাকের মার্কেটের পার্কিং ইজারা নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেটকে সঙ্গে নিয়ে সেই পার্কিং বুঝে নিতে যান। তখন ওই ব্যবসায়ী নেতা ও তার লোকজন বাধা দিলে এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। দ্রুত পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে এ ঘটনায় কোনো পক্ষই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেননি। তারা অভিযোগ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ফিরোজ আহমেদ আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মার্কেট থেকে বের হন। তখন আগে থেকেই অবস্থানরত একদল লোক রড ও হকিস্টিক নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। পিটুনির একপর্যায়ে কাউন্সিলর আউয়ালের নেতৃত্বে আরেকটি দল আসে। সেখানে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের কয়েকজন নেতাও ছিলেন। তারাও ফিরোজকে পেটাতে থাকেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

নগর প্লাজা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাসুদুর রহমান দাবি করেন, কাউন্সিলর আউয়াল হোসেন তার লোকজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মার্কেট দখলের চেষ্টা করে আসছিলেন। তারা নগর প্লাজা, সিটি প্লাজা ও জাকের সুপার মার্কেটের কার পার্কিং ইজারার সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিলসহ বিভিন্ন খাতে চাঁদা আদায় করেন। এর প্রতিবাদে সম্প্রতি ব্যবসায়ীরা আউয়াল ও তার ক্যাডারদের দল থেকে বহিষ্কার এবং শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন। এতে কাউন্সিলর সিটি করপোরেশনে কোণঠাসা হয়ে পড়েন। এরপর ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি ফিরোজকে হত্যার চেষ্টা চালান।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর আউয়াল হোসেন বলেন, আমি বা আমার লোকজন কাউকে মারধর করেনি। কয়েকজন পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন। ফিরোজ দীর্ঘদিন ধরে মার্কেটের নিচতলায় অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে ভাড়া দিচ্ছিলেন। সম্প্রতি মেয়রের নির্দেশে নকশা বহির্ভূত দোকান উচ্ছেদ করে সেখানে পার্কিংয়ের স্থান নির্ধারণ করা হয়। আমার এক ঘনিষ্ঠজন সেই পার্কিং ইজারা পেয়েছেন। তবে আমাকে স্থানটি বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছিল না। এ কারণে ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশসহ সেখানে গেলে হামলার শিকার হই। তখন পুলিশ লাঠিচার্জ করে।

Share