নয়াবার্তা প্রতিবেদক : সরকারি চাকরিতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ পাওয়াদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য চেয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) এ তথ্য চেয়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সচিব/সিনিয়র সচিবদের কাছে চিঠি দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে মন্ত্রণালয়গুলোকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ করা জনবলের তথ্য পাঠাতে একটি ছক করে দেয়া হয়েছে। ছক অনুযায়ী প্রার্থীর নাম, নিয়োগপ্রাপ্ত পদ ও শ্রেণি; বাবার নাম ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা, যার মুক্তিযোদ্ধা সনদ/গেজেটের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন (পিতা/মাতা/পিতামহ/মতামহ) তার নাম ও ঠিকানা; মুক্তিযোদ্ধার নাম, পিতা/মাতা/পিতামহ/মাতামহের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও গেজেট নম্বর এবং নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার তারিখ জানাতে হবে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীকের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় গ্রেড অনুযায়ী কতজন সরকারি চাকরি পেয়েছেন, সেই তালিকা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের তথ্যভিত্তিক পরিসংখ্যান তৈরি, অমুক্তিযোদ্ধা শনাক্তে বীর মুক্তিযোদ্ধার নথি যাচাইসহ একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর গত ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক)।