নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : যেসব বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) শর্তের বাইরে গিয়ে রোহিঙ্গাদের নানাভাবে ইন্ধন দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের জন্য কেউ কেউ দা–কুড়াল বানাচ্ছে। যারা এটা করছে, তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।
আজ শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় সিলেটে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সিলেট নগরের ধোপাদিঘিরপার এলাকার হাফিজ কমপ্লেক্সে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শুরুর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা এনজিওদের সম্পর্কে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ওয়ার্নিং দিচ্ছি, যারা ননগর্ভমেন্ট অর্গানাইজেশন আছে, কিংবা অন্য সব প্রতিষ্ঠান আছে, যারা তাদের নিয়মের বাইরে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত, কিংবা অন্য কিছুতে সম্পৃক্ত, আমরা তাদের চিহ্নিত করব। এবং তারা যদি তাদের শর্তের বাইরে কাজ করে, যদি মনে হয় স্বার্থবিরোধী, তাহলে অবশ্যই আমরা তাদের শাস্তি দেব। আমরা তাদের উইথড্র করে ফেলব।’
সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গাদের বড় একটি সমাবেশ হওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এত বড় শোডাউন হলো, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হলো। কারও জাতীয় আইডি নাই, কিন্তু সবার হাতে সেলফোন আসল কোত্থেকে? এগুলো বিভিন্ন এনজিও সাপ্লাই দিয়েছে, বড় বড় বিলবোর্ড বানিয়েছে, ডিজিটাল ব্যানার দিয়েছে, লিফলেট বানিয়েছে। এবং এগুলোতে বলেছে, আমাদের পাঁচটা শর্ত পূরণ না হলে যাব না। এবং কেউ কেউ দাও-কুড়াল বানাচ্ছে তাদের জন্য। আমরা তাদের আইডেনটিফাই করেছি, যে প্রতিষ্ঠান দাও-কুড়াল বানাচ্ছে, আমরা তাদের শাস্তি দেব।’
এ কে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, ‘যত দিন তারা (রোহিঙ্গা) আমাদের ভূখণ্ডে আছে অতিথি হিসেবে, তাদের আমাদের আইনকানুন মেনে চলতে হবে। যদি ব্যত্যয় হয়, তাহলে তারা শাস্তি পাবে।’
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন মাহফিলের আয়োজক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী সেলিনা মোমেন। সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মো. আজাদুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংসদ সৈয়দা জেবুন্নেসা হক, মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী আসমা কামরান, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব মারিয়ান চৌধুরী মাম্মি প্রমুখ।