বিনোদন প্রতিবেদক : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ‘তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব-২০২৩’। দেশের ৬৪টি জেলায় আগামীকাল ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই চলচ্চিত্র উৎসব। এবারই প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
পাঁচটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে-সমকালীন চলচ্চিত্র, নারী নির্মাতাদের চলচ্চিত্র, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র, ধ্রুপদি চলচ্চিত্র এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বা পুরস্কারপ্রাপ্ত মোট ৩৬টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে এবারের উৎসবে। এর মধ্যে ২৩টি সমকালীন ও ১৩টি অন্যান্য ক্যাটাগরির চলচ্চিত্র।
চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর পাশাপাশি উৎসবে আরও থাকছে ১০টি জেলায় ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স, প্যানেল আলোচনা, প্রীতি সম্মিলনী, চলচ্চিত্র নিয়ে মুক্ত আলোচনা ও আড্ডা।
এই চলচ্চিত্র উৎসব উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুখ্য আলোচক ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্রকে আমাদের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বারবার সরকারকে বলেছি।’ চলচ্চিত্রকে বাণিজ্যিক নামে আখ্যায়িত না করার আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি।
তিনি বলেন, ‘শূন্য থেকে কাজটি শুরু করেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত শিল্প অনুরাগী। তিনি আমাদের শিল্পকলার খোঁজখবর নেন। আমি মনে করি চলচ্চিত্র বিষয়টি সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা উচিত। আমরা চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি আমাদের সংস্কৃতি বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে পারব।’
এ ছাড়া মতবিনিময় সভায় চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, শিল্পী কলাকুশলী এবং চলচ্চিত্র সংগঠক, জুরি সদস্য, সিলেকশন কমিটির সদস্য ও সাংবাদিকেরা।
সাতটি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (২ লাখ টাকা), শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা (১ লাখ টাকা), বিশেষ জুরি (১ লাখ টাকা) এবং শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক, শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পক এবং শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পককে ৫০ হাজার টাকা করে পুরস্কার প্রদান করা হবে। এ ছাড়া উৎসব স্মারক ও সনদ দেওয়া হবে।