সায়ন্তিকা ও জায়েদ খান হোটেলে ৪ ঘণ্টা কী করছিলেন

বিনোদন প্রতিবেদক | পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় নায়িকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার শুটিং মাঝপথে ফেলে রেখে কলকাতায় চলে গেছেন। তিনি চলে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে সিনেমার শুটিং। এ নিয়ে উঠেছে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ।

সিনেমাটির প্রযোজক মনিরুল ইসলামের দাবি, শুটিংয়ের ফাঁকে পোশাক পরিবর্তনের কথা বলে সিনেমার নায়ক জায়েদ খান ও নায়িকা সায়ন্তিকা চার ঘণ্টা হোটেলে ছিলেন। তারা এত সময় হোটেলে কী করেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রযোজক।

মনিরুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘নৃত্য পরিচালক মাইকেল বাবুর ডিরেকশনে গানের শুটিং করার সময় ড্রেস পরিবর্তন করার জন্য দুপুর ২টায় হোটেলে যান নায়ক-নায়িকা। ফিরে আসেন সন্ধ্যা ৬টায়। ড্রেস চেঞ্জ করতে চার ঘণ্টা সময় লাগে, এমনটা কখনো দেখিনি। এছাড়া যেদিন আমরা শুটিং প্যাকআপ করে পুরো ইউনিট নিয়ে চলে আসি, সেদিন নায়ক-নায়িকা হোটেলেই থেকে যান। ওই দিন তারা সেখানে কী করছিলেন? এ প্রশ্নের জবাব তারা কী দেবেন? এ কথাগুলো কখনো সামনে আনতে চাইনি। কিন্তু এখন আর চুপ করে থাকতে পারলাম না।’

যদিও শুটিং ফেলে কলকাতায় গিয়ে সায়ন্তিকা জানান, কক্সবাজারে শুটিং করার সময় অনুমতি না নিয়ে তার হাত স্পর্শ করেছেন সিনেমার নৃত্য পরিচালক মাইকেল বাবু।

সিনেমার প্রযোজনের বিষয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘বারবার আমি প্রযোজক মনিরুলের সঙ্গে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা নিয়ে আলাপ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কোনো উত্তরই পাইনি। তার কোনো পরিকল্পনা নেই। কোনো ব্যবস্থা নেই। হঠাৎ বলা হলো, নাচের দৃশ্যের শুটিং করা হবে! বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করার পরেও যখন মনিরুল উত্তর দেননি, তখন বলেছিলাম, আমি এভাবে কাজ করব না মাইকেলের সঙ্গে।’

হোটেলে অবস্থান নিয়ে প্রযোজক মনিরুল ইসলামের প্রশ্নের উত্তরে সংবাদমাধ্যমকে জায়েদ খান জানান, তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগটি ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

জায়েদ খান বলেন, ‘সায়ন্তিকা কলকাতার পত্রিকায় ক্লিয়ার করেছে মূল সমস্যাটা কোথায়। এখানে অন্য কোনো ব্যাপার নেই। মাঝখান থেকে কেউ কেউ ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে, আমাকে খারাপ বানানোর চেষ্টা করছে।’

Share