সিনহা রাশেদ হত্যা মামলা থানায় গোপন বৈঠকে হত্যার ‘পরিকল্পনা’

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : কক্সবাজারের টেকনাফে সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তার প্রত্যক্ষ মদদে হত্যা মিশন বাস্তবায়ন হয়। জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে টেকনাফ থানায় বসে গোপন বৈঠক করে ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও পুলিশের তিন সোর্স মিলে সিনহাকে হত্যার ছক চূড়ান্ত করেন।

টেকনাফে সরকারি বৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে অবৈধ কর্মকাে র অভয়াশ্রম গড়ে তুলেছিলেন ওসি প্রদীপ। তার ইয়াবা বাণিজ্য ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয় জেনে যান সিনহা। ইয়াবা কারবার নিয়ে সাক্ষাৎকার চাওয়ায় প্রথমে সিনহাকে হুমকি দেন প্রদীপ। ওই কাজ থেকে বিরত রাখতে না পারায় তাকে হত্যার চূড়ান্ত পরিকল্পনা করেন।

গতকাল রোববার কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ এসব কথা বলেন। এতে তদন্তে পাওয়া তথ্য ও অভিযোগপত্রের বিষয়বস্তু তুলে ধরা হয়।

এর আগে গতকাল সকালে কক্সবাজারের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিনহা হত্যা মামলার চার্জশিট পেশ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম। দণ্ডবিধি ৩০২সহ আরও কয়েকটি ধারায় সবার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এতে ওসি প্রদীপ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়। ঘটনার পর দায়িত্বে অবহেলার কারণে কক্সবাজারের তৎকালীন পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ হয় চার্জশিটে। সিনহার বড় বোন ও মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস সমকালকে বলেন, ‘ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে চার্জশিট প্রথম ধাপ। এতে আমরা সন্তুষ্ট। প্রদীপ ও লিয়াকতের ৩০২ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি চাওয়া হয়েছে। অন্যদের অপরাধ অনুযায়ী যার যার ভূমিকার কথা উঠে এসেছে। চূড়ান্ত সন্তুষ্ট তখন হবো যখন বিচারিক কার্যক্রম দ্রুত শেষ হওয়ার পর রায় ঘোষণা করা হবে। ‘

র‌্যাবের মুখপাত্র লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে মামলার তদন্ত করেছে র‌্যাব। তদন্ত কর্মকর্তা তার কাজ শেষ করতে সময় নিয়েছেন চার মাস ১০ দিন। আসামিদের মধ্যে টেকনাফ থানার বরখাস্ত পুলিশ সদস্য ৯ জন, এপিবিএনের তিনজন ও বেসামরিক সদস্য তিনজন। অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের ১৪ জন কারাগারে; একজন পলাতক। অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের ১২ জন দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রদীপ ও রুবেল শর্মা জবানবন্দি দেননি। তদন্ত কর্মকর্তা ৮৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। এর বাইরেও পর্যালোচনা করেছেন বিভিন্ন ধরনের আলামত ও ডিজিটাল কনটেন্ট।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আরও বলেন, এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুব স্পষ্টভাবে একটি বিষয় সামনে এনেছেন। ঘটনার সাক্ষী, আলামত, আসামিদের জবানবন্দির মাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠভাবে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন- এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এ হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী প্রদীপ কুমার। হত্যাকান্ড ধামাচাপা দেওয়া এবং অন্য খাতে প্রবাহিত করার জন্য তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

তিনি বলেন, প্রদীপের প্রত্যক্ষ ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণ করেন আসামি এসআই লিয়াকত আলী, পুলিশের সোর্স নুরুল আমিন, আয়াজ উদ্দিন ও নিজাম উদ্দিন। লিয়াকত আলীকে সহযোগিতা করেন আরেক পুলিশ সদস্য নন্দ দুলাল। পাশাপাশি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যের সহায়তায় এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। পরবর্তী সময়ে ওই ফাঁড়ির আরও পুলিশ সদস্য সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করা এবং ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

সিনহা কক্সবাজারে গিয়েছিলেন সেখানকার পরিবেশ ও প্রকৃতির সৌন্দর্য নিয়ে ডকুমেন্টারি তৈরি করতে। কেন তিনি প্রদীপের দুর্নীতির বিষয়ে ইন্টারভিউ করতে গেলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ আরও বলেন, সিনহা বন্ধুবৎসল ছিলেন। মানুষের সঙ্গে দ্রুত মিশে যাওয়ার ক্ষমতা ছিল তার। তিনি টেকনাফে গেলে দ্রুতই তার সঙ্গে এলাকাবাসীর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। তিনি টেকনাফের মানুষের ওপর প্রদীপ কুমার দাশের নির্যাতন-নিপীড়নের কথা জানতে পারেন। ইয়াবা কেনাবেচায় সম্পৃক্ততারও প্রমাণ পান। এমন কিছু তথ্য তিনি সংগ্রহ করেছিলেন, যা প্রকাশ পেলে প্রদীপ কুমার দাশ অস্তিত্ব সংকটে পড়ে যেতে পারতেন।

এসব বিষয়ে সিনহা ওসি প্রদীপের সাক্ষাৎকার নিতে যান। এ সময় প্রদীপ তাকে এ ধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার কথা বলেন এবং সরাসরি হুমকি দেন। কিন্তু সিনহা তার কাজ চালিয়ে চান। পরে প্রদীপ থানাতেই পরিদর্শক লিয়াকত ও তিন সোর্সের সঙ্গে বৈঠক করেন। হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে প্রদীপই নির্দেশ দেন।

ওই সময় প্রদীপ কী হুমকি দিয়েছিলেন- জানতে চাইলে র‌্যাব কর্মকর্তা আশিক বিল্লাহ বলেন, কক্সবাজার থেকে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। কক্সবাজার থেকে চলে না গেলে সিনহাকে ধ্বংস করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন প্রদীপ। তবে সিনহা হত্যাকান্ডের পর তাদের মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, ল্যাপটপসহ যা যা পুলিশ জব্দ করেছিল, সেগুলো র‌্যাবের হাতে যাওয়ার পর তেমন কিছু সেখানে পাওয়া যায়নি। ডিজিটাল কনটেন্ট যা ছিল, তা আগেই ধ্বংস করা হয়েছে।

প্রদীপের অপরাধের সঙ্গে তৎকালীন পুলিশ সুপারের কোনো সংশ্নিষ্টতার তথ্য তদন্তে এসেছে কিনা- জানতে চাইলে আশিক বিল্লাহ বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ সুপারের উদাসীনতা ও অপেশাদার আচরণের প্রমাণ পেয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন না করা, সিনহার চিকিৎসার ব্যবস্থা না করাসহ বেশ কিছু কারণে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে তিনি অপেশাদারী আচরণ করেছেন বলে মনে করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার মাসুদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য চার্জশিটে একটি সিদ্ধান্ত উপস্থাপন করা হয়েছে।

সহকর্মীদের নিয়ে সিনহার থানায় যাওয়ার কোনো প্রমাণ আছে কিনা- জানতে চাইলে আশিক বিল্লাহ বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে টেকনাফ থানার কোনো ফুটেজ পাওয়া যায়নি। টেকনাফে কি তাহলে পুলিশ এভাবেই সাজানো ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ঘটিয়েছে- এমন প্রশ্নে আশিক বিল্লাহ বলেন, প্রতিটি ঘটনাই আলাদা। তারা নির্দিষ্ট একটি ফৌজদারি মামলার তদন্ত করেছেন।

এর আগে টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক র‌্যাবের গুলিতে নিহত হন বলে জানান তার স্ত্রী। ওই মামলার তদন্ত র‌্যাব করেছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আশিক বিল্লাহ বলেন, সিনহা হত্যার সঙ্গে অন্য কোনো অপকর্ম বা অপরাধের সাদৃশ্য খোঁজা অমূলক। সেই রাতে সিনহার মাকেও ফোন করা হয়েছিল। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরও তাকে হত্যা করা হয় মূলত পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে। সিনহা সম্পর্কে আপনারা সবাই জেনেছেন। সেনাবাহিনীর এক চৌকস কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। ওসি প্রদীপ যা করেছেন তা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।

র‌্যাবের মুখপাত্র আরও জানান, ৭ জুলাই সিনহা, শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও রূপতি নীলিমা রিসোর্টে অবস্থান করেন। ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও ডকুমেন্টারি তৈরির জন্য তারা টেকনাফে গিয়েছিলেন। এক পর্যায়ে রূপতি ফিরে আসেন। ওই সময় সেখানে বেশ কিছুদিন থাকার ফলে স্থানীয় সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাদের আন্তরিকতা গড়ে ওঠে। তাদের কাছ থেকে ওসি প্রদীপের ইয়াবা বাণিজ্য নিয়ে নানা বিষয় জানতে পারেন সিনহা। এ বিষয়ে সিনহা ক্যামেরাসহ ওসি প্রদীপের বক্তব্য নিতে যান। বক্তব্য না দিয়ে তাদের টেকনাফ ছেড়ে চলে যাওয়ার সরাসরি হুমকি দেন তিনি।

তিনি বলেন, মূলত দুটি কারণে ওসি প্রদীপ এ ঘটনা ঘটান। একটি হলো, ওসি প্রদীপের ইয়াবা বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়। অপরটি সিনহা এ তথ্য যেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানাতে পারেন। প্রদীপ ভেবেছিলেন, হুমকি দিলে সিনহা কক্সবাজার ত্যাগ করবেন। কিন্তু কক্সবাজার ত্যাগ না করায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তে এমনটাই প্রমাণ পেয়েছেন।

র‌্যাব বলছে, গত ৩১ জুলাই রাত ৯টা ২৫ মিনিটে সিনহা গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে প্রদীপ কুমার দাশ ঘটনাস্থলে আসেন এবং সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। হাসপাতালে নেন দায়সারাভাবে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্যান্য আসামি পুরো হত্যাকা টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য নাটক মঞ্চস্থ করেন।

তদন্ত কর্মকর্তার প্রশংসা করে লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, পুলিশে ৩২ বছর ধরে কাজের অভিজ্ঞতা ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ও প্রভাবমুক্ত হয়ে তিনি এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তদন্ত শেষে ২৬ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

আসামি যারা : পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল-মামুন, মোহাম্মদ মোস্তফা, সাবেক এএসআই সাগর দেব, সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মা, এপিবিএনের তিন সদস্য এসআই মোহাম্মদ শাহজাহান, কনস্টেবল মোহাম্মদ রাজীব ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এবং পুলিশের মামলার তিন সাক্ষী নুরুল আমিন, আয়াজ উদ্দিন ও নিজাম উদ্দিন। আসামিদের মধ্যে এএসআই সাগর দেব পলাতক।

গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ফাঁড়িতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ ও রামু থানায় তিনটি মামলা করে। ওই তিন মামলায় সিনহা মো. রাশেদ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথের বিরুদ্ধে মাদক ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। ওই অভিযোগ থেকে তাদের দায়মুক্তি দেওয়ার জন্য র‌্যাব চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে আদালতে।

কক্সবাজারের আদালতে সিনহার বোন শারমিনের মামলায় গতকাল অভিযোগপত্র দিয়েছে র‌্যাব। আদালতের নির্দেশে ওই মামলার তদন্ত করে র‌্যাব। এ ছাড়া এই ঘটনার তদন্তে গত ১ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে গঠিত ওই কমিটি এরই মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ওই কমিটি ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৬৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। প্রশাসনিক ওই তদন্তে কক্সবাজারে চেকপোস্টে পুলিশের ভূমিকাকে অপেশাদার ও হটকারী বলে মন্তব্য করা হয়। ভবিষ্যতে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বেশকিছু সুপারিশ করেছে ওই কমিটি।

সিনহা হত্যা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ: কক্সবাজার অফিস জানায়, মেজর সিনহা হত্যা মামলা বাতিল চেয়ে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে করা রিভিশন আবেদন খারিজ করা হয়েছে। গতকাল কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল দেড় ঘণ্টার শুনানি শেষে আবেদনটি খারিজ করে দেন।

রিভিশন আবেদনকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ সালাহ উদ্দিন জানান, আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করবেন। তিনি বলেন, শারমিন বাদী হয়ে করা মামলায় পদ্ধতিগত আইনি ত্রুটি রয়েছে। এ মামলার আসামিদের রিমান্ড ও ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দির বিষয়েও উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হবে। আদালতের আদেশে আবেদনটি খারিজ হয়ে যাওয়ায় সিনহা হত্যা মামলার বিচারকার্য চলতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী শারমিনের আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।

Share