নয়াবার্তা প্রতিবেদক : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া চারটি গোলা এসে পড়েছে। এতে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন রোহিঙ্গা শিশুসহ ৬ জন। তুমব্রু রোহিঙ্গা ক্যাম্প কমিটির চেয়ারম্যান দিল মোহাম্মদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মিয়ানমার থেকে চারটি গোলা এসে পড়ে। এর মধ্যে তিনটি শূন্যরেখায় থাকা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ও আরেকটি বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে পড়েছে। এতে এক রোহিঙ্গা শিশুসহ ৭ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে মোহাম্মদ ইকবাল নামে এক রোহিঙ্গা যুবক মারা যান।
আহতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি আছেন। তবে তাদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি বলে জানান তুমব্রু রোহিঙ্গা ক্যাম্প কমিটির চেয়ারম্যান।
এর আগে দুপুরে এই সীমান্তেই হেডম্যানপাড়ায় মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে মাইন বিস্ফোরণে আহত হন এক বাংলাদেশি যুবক। আহত অংঞাথোয়াই তঞ্চঙ্গ্যার বাড়ি ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের তুমব্রু হেডম্যানপাড়ায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সীমান্ত এলাকায় অংঞাথোয়াই তঞ্চঙ্গ্যা গরু চরাচ্ছিলেন। হঠাৎ তার গরু সীমান্তের ওপারে চলে যায়। গরুটিকে ফিরিয়ে আনতে গেলে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সীমান্তে পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরিত হয়ে তার বাম পায়ের গোড়ালিসহ পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য তাকে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, তুমব্রু সীমান্তের ৩৫ নাম্বার পিলার এলাকায় স্থলমাইন বিস্ফোরণে হেডম্যানপাড়ার অংঞাথোয়াই তঞ্চঙ্গ্যা নামে ব্যক্তি আহত হয়েছেন।