নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : দুই বাংলার দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্র তারকা জয়া আহসান। ঢাকা ও কলকাতার ছবিতে সমান জনপ্রিয়তার কারণে তাকে বলা হয় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক তারকা। তিনি বাংলাদেশ ও ভারতে সমানভাবে কাজ করে চলেছেন। বাংলাদেশে একাধিক বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ সুঅভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ দুই বাংলাতেই জয়া অর্জন করেছেন অনেকগুলো সম্মানজনক পুরস্কার। ইতিমধ্যে “দেবী” নামের একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেও সাফল্য পেয়েছেন এই মডেল ও অভিনয় তারকা।
জানা যায়, একের পর এক প্রথম সারির গুণী পরিচালকের ছবিতে অভিনয় করেছেন জয়া। কিন্তু আপাতত সবার মতো তিনিও থমকে আছে। কেননা জনজীবন থেকে শুরু করে বিনোদন দুনিয়ায় সকলের স্বস্তি কেড়ে নিয়েছে বৈশ্বিক মহামারী নোভেল করোনা ভাইরাস। আর এই করোনা ভাইরাসের কারণে আটকে গেছে অভিনেত্রী জয়ার পাঁচ ছবি।
জয়া আহসান অভিনীত আটকে থাকা ছবিগুলো হচ্ছে কৌশিক গাঙ্গুলীর “অর্ধাঙ্গিনী”, সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়ের “ঝরা পালক”, সৌকর্য্য ঘোষালের “ভূতপুরী”, নূরল আলম আতিক পরিচালিত “পেয়ারার সুবাস” ও মাহমুদ দিদার পরিচালিত “বিউটি সার্কাস”। এগুলোর মধ্যে প্রথম তিনটি কলকাতার ছবি, শেষ দুটি বাংলাদেশের। জয়া জানান, প্রতিটি ছবিতেই কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। উল্লিখিত পাঁচ ছবিরই দৃশ্য ধারণের কাজ প্রায় শেষ। করোনার প্রাদুর্ভাব কমে এলে ছবিগুলো মুক্তি পাবে। আর এখন জয়া আহসান তাই অপেক্ষা করছেন সেই আগামীর সুদিনের জন্যে।
করোনা শেষে জয়ার পাঁচ ছবিছবিগুলো নিয়ে জয়া আহসান বলেন, ছবিগুলোর গল্প অসাধারণ। আগের ছবিগুলোতে দর্শক আমাকে যেরকম চরিত্রে দেখেছেন, এই ছবিগুলোতে আমাকে অন্যরকম চরিত্রে পাবেন। প্রতিটি চরিত্রে রয়েছে ভিন্নতা। ছবিগুলো নিয়ে আমি দারুন আশাবাদী। আমার বিশ্বাস ছবিগুলো দর্শক হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। আমার চরিত্রেও সবাই নতুন মাত্রা উপভোগ করবেন। আশা করছি করোনা ভাইরাস চলে গেলে ছবিগুলো মুক্তি পাবে। আমি ছবিগুলোর মুক্তির জন্যে ভীষণভাবে অপেক্ষায় আছি।