ক্রীড়া প্রতিবেদক : সেঞ্চুরির আক্ষেপ জাগিয়ে ২৯ বলের মধ্যেই ফিরলেন মুমিনুল-লিটন। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড থেকে ৭৩ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিন (৩ জানুয়ারি) শেষ করেছে টাইগাররা। দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে সফরকারীদের সংগ্রহ ৬ উইকেট হারিয়ে ৪০১ রান। আগামীকাল চতুর্থ দিন সকালে আবারও ব্যাট করতে নামবে বাংলাদেশ।
দুই অপরাজিত ব্যাটার ইয়াসির আলি ও মেহেদী হাসান মিরাজের রান যথাক্রমে ১১ ও ২০। তাদের দুজনের জুটি দাঁড়িয়েছে ৩১ রানে। এর আগে ২ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল টাইগাররা। সেখান থেকে আজ তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নামে তারা। কিন্তু স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ৯ রান যোগ করতেই বিদায় নেন আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়। নিল ওয়াগনারের বলে নিকোলসের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে করে যান ২২৮ বলের মোকাবিলায় ৭৮ রান।
টেস্টে লিটন দাসের ধারাবাহিক ফর্ম ২০২২ সালেও অব্যাহত রয়েছে। ছবি: গেট্টি ইমেজ
এরপর ক্রিজে আসেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। কিন্তু তিনি বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মাত্র ১২ রান করেই বিদায় নেন। পরের গল্পটা কেবল মুমিনুল হক ও লিটন দাসের। বিগত ২০২১ সালের ফর্মটাই যেন জারি রেখেছেন লিটন। তাদের দুজনের ১৫৮ রানের জুটির ওপর ভর করেই নিউজিল্যান্ডের করা রান টপকে বড় লিডের পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যক্তিগত ৮৮ রান করে আউট হয়ে ফিরে গেছেন মুমিনুল। ২৪৪ বল মোকাবিলায় এই রান সংগ্রহ করেন তিনি। ট্রেন্ট বোল্টের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন টেস্ট স্পেশালিস্ট।
পরে সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হয়ে ফিরে গেছেন লিটন দাসও। ৮৬ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। অবশ্য এই আউটের জন্য হয়তো নিজেকেই দোষারোপ করবেন লিটন। কারণ, ট্রেন্ট বোল্টের সম্পূর্ণ বাইরের একটি বল খেলতে গিয়েছিলেন তিনি। চাইলে এই বলটি ছেড়েও দিতে পারতেন। কিন্তু ঠিক কি মনে করে খেলতে গেলেন তা হয়তো তিনি নিজেই ভালো বলতে পারবেন।
বাংলাদেশের ভিতটা প্রথমে গড়ে দিয়ে যান ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। তিনি ৭৮ রান করেছেন।
প্রথম ইনিংসে ৩২৮ রানে অলআউট হয়েছিল কিউইরা। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট শিকার করেন পেসার শরিফুল ইসলাম ও স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। এছাড়া মুমিনুল হক ২টি ও একটি উইকেট নেন পেসার এবাদত হোসেন। অন্যটি রানআউট ছিল।