নয়াবার্তা প্রতিবেদক : ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এবং গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ সব আদি জেলা শহরে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে টিভি কেবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপায়ণের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, এই সময়সীমার মধ্যে এই শহরগুলোতে গ্রাহকদের সেট-টপ বক্স না থাকলে টেলিভিশন দেখার ক্ষেত্রে ব্যত্যয় হবে।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অভ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-অ্যাটকো এবং কেবল ডিস্ট্রিবিউটর ও অপারেটরদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে একথা জানান তথ্যমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কেবল অপারেটরদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সময় বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। তারা ইতোমধ্যেই তাদের প্রান্তে ডিজিটাল-হেড স্থাপন করেছেন, এখন গ্রাহকদের সেট-টপ বক্স নিতে হবে। সহজ কিস্তিতে সুলভ মূল্যে কেবল অপারেটরা গ্রাহকদের সেট-টপ বক্স সরবরাহ করবে।’
এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেবল নেটওয়ার্কিং সিস্টেম ডিজিটাল হলে সবার জন্যই সুবিধা। গ্রাহকরা আরও ভালোভাবে টেলিভিশন দেখতে পাবে। ডিজিটাল না হওয়ায় সরকার প্রতি মাসে ১২৫ থেকে দেড়শ কোটি টাকার ভ্যাট হারাচ্ছে। কেবল অপারেটররাও যে ফিড অপারেটরের কাছ থেকে গ্রাহকসংখ্যার ভুল হিসেবের ফলে বঞ্চিত হচ্ছে। টেলিভিশনের কর্তৃপক্ষও তাদের দর্শকসংখ্যা জানতে পারছেন না।’
সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, ওটিটি প্লাটফমের জন্য নীতিমালার খসড়া তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। দেখা যাচ্ছে, যে সমস্ত চ্যানেল কেবল নেটওয়ার্কে মাধ্যমে ক্লিনফিড ছাড়া দেখা যাচ্ছে না, সে সমস্ত চ্যানেল অনেক ক্ষেত্রে ওটিটি প্লাটফর্মের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। এটিও আইনের বরখেলাপ এবং নীতিমালার আলোকে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
এ সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেনের পরিচালনায় অ্যাটকোর সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সহ-সভাপতি আরিফ হোসেন, সদস্য আব্দুস সামাদ বাবু, আহমেদ জোবায়ের, হুমায়ুন কবীর বাবলু, ডিস্ট্রিবিউটর প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবুল খায়ের চৌধুরী, অপারেটর প্রতিনিধি এসএম আনোয়ার পারভেজ, সৈয়দ মোশারফ আলী, এবিএম সাইফুল হোসেন, মো: ফখরুদ্দিন মিয়া, মো. এনামুল হাফিজ ছোটন অংশ নেন।