স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ

পদ্মা সেতুর মাওয়া টোল প্লাজায় অপেক্ষমান গাড়ির সারি

নয়াবার্তা প্রতিবেদক : ঈদকে সামনে রেখে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীর ঢল নেমেছে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে। শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে ব্যক্তিগত যানবাহন ও গণপরিবহণে পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া টোলপ্লাজায় ভিড় জমাচ্ছে শত শত যানবাহন। ফলে মাওয়া টোলপ্লাজার সামনে থেকে পদ্মা সেতুর উত্তর থানার মোড় পর্যন্ত এলাকায় গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা দিয়েছে। তবে পদ্মা সেতুর কারণে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ।

ব্যক্তিগত গাড়ি ও বিভিন্ন গণপরিবহণের দীর্ঘ সারি থাকলেও খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। টোল প্লাজার ৬টি বুথ দিয়ে টোল পরিশোধ করে যানবাহন দ্রুত সময়ে পর্যায়ক্রমে পদ্মা সেতু পার হয়ে যায়। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দীর্ঘ যানবাহনের সারি থাকলেও যানবাহন পারাপার চলমান ছিল। বিকাল ৫ টার পর যানবাহনের চাপ অনেকটা কমে যায়। পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঈদে ঘরমুখো মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ উদযাপন করতে বাড়িতে যেতে পারায় খুশি।

গেলো ঈদেও শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের অসহনীয় বিড়ম্বনা ছিল। আর এবার পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় বিড়ম্বনাহীন মানুষ ঈদ আনন্দ উদযাপনে বাড়ি যাচ্ছে। যাত্রীদের মধ্যে তাই আনন্দ আর উচ্ছ্বাস। তবে বাস সংকটে বহু যাত্রী ট্রাকে করে সেতু পাড়ি দিচ্ছে।

পদ্মা সেতু

ট্রাকে করে শত শত যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে। কর্মস্থল থেকে ছুটি পেয়েই পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে তাদের প্রাণপণ চেষ্টা। পদ্মা সেতু দিয়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছে। তাদের উচ্ছ্বাসের যেন শেষ নেই। বাসের অভাবে ঝুঁকি নিয়ে কষ্টে ট্রাকে সেতু পার হলেও তাদের কোনো অভিযোগ নেই।

গেল ঈদ যাত্রা মনে করিয়ে দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলগামী উচ্ছ্বসিত এই যাত্রীরা বলেন, ‘পদ্মা জয় করেছে বাঙালিরাই। তাই এবারের ঈদে আনন্দ বেশি।’ তবে বাসের শৃঙ্খলা, ভাড়া বৃদ্ধিরোধ ও স্টপেজ নির্দিষ্ট করার দাবি জানান তারা।

পদ্মা সেতুর উত্তরপাড়ে অপেক্ষমান গাড়ির সারি

পদ্মা উত্তর থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানান, যানবাহন পর্যাপ্ত না থাকায় মানুষ গন্তব্যে যেতে ট্রাকে উঠছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share