নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : মাত্র কিছুদিন আগেই সালমান শাহর মৃত্যু প্রসঙ্গে পিবিআই রিপোর্টে উঠে এলো শাবনূরের নাম। সালমান শাহর সঙ্গে তার বন্ধুত্বের চেয়েও বেশি সম্পর্ক ছিল বলে প্রকাশ পেল। সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করলেন তিনি। তার দুদিন বাদে শাবনূরের এই অস্বীকৃতিতে সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা বললেন আদালতে গিয়ে শাবনূরকে ক্ষমা চাইতে হবে।
এটিই শেষ নয়, এই ধারাবাহিকতায় গণমাধ্যমে শাবনূরকে ‘তৃতীয় শ্রেণির নায়িকা’ বলে উল্লেখ করলেন সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী। তার প্রতি উত্তরে শাবনূর কী বলেন সেই অপেক্ষায় ছিল এ কদিন গণমাধ্যম। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে শাবনূর কাণ্ডে এবারে হঠাত্ করেই নিজের ডিভোর্সের কথা সামনে চলে এলো। জানা গেল প্রায় চার বছর আগেই শাবনূরের স্বামী অনিক আরো একটি বিয়ে করেছেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম আয়েশা।
শাবনূরের এক ঘনিষ্ঠ কলিগের সূত্রেই জানা যায়, ছেলে জন্মের পর ২০১৪ সাল থেকেই স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় শাবনূরের। তখন থেকেই তারা আলাদা থাকেন। তাই মাঝের এই দীর্ঘ সময়ে শাবনূর তার সংসার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও অনিকের দ্বিতীয় সংসারের ঘটনায় তাকে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে বলে দাবি করছেন এ নায়িকার ঘনিষ্ঠজনরা।
বুধবার সকালে ডিভোর্স ও দ্বিতীয় বিয়ের ব্যাপারে জানতে শাবনূরের স্বামী অনিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। এছাড়া তার দ্বিতীয় স্ত্রীর ফোনটিও বন্ধ। এদিকে ডিভোর্সের ব্যাপারে নীরব রয়েছেন চিত্রনায়িকা শাবনূরও। তিনি বর্তমানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। সেখান থেকে তিনি মানসিক অস্থিরতায় আছেন, কোনো কিছু আর বলতে চান না বলে জানান।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর অনিক মাহমুদ হূদয়ের সঙ্গে আংটি বদল করেন শাবনূর। এরপর ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। সেই সংসারে ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আইজান নিহান নামে এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়।
স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় গত ২৬ জানুয়ারি অনিককে তালাক দিয়েছেন শাবনূর। নায়িকার সই করা নোটিশটি অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে গত ৪ ফেব্রুয়ারি অনিকের উত্তরা এবং গাজীপুরের বাসার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।