নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণে গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে আরও ১৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি গত ৪৫ দিনের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন মৃত্যু। এর আগে সর্বশেষ এক দিনে এর চেয়ে কম ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল গত ৪ জুলাই। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ৫৬৬ জন।
আজ বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আগের দিনের চেয়ে করোনায় মৃত্যু ও নতুন রোগী শনাক্তের হার কমেছে। আগের দিন ১৭২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৭ হাজার ২৪৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩৭ হাজার ২২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৬৪। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ১৭ দশমিক ৬৭। এ নিয়ে তিন দিন ধরে শনাক্ত ২০ শতাংশের নিচে থাকল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব মিলিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১০। মোট মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজার ৮৭৮ জনের। আর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ১৮১ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ১৫৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৮ জন এবং সিলেট বিভাগে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা অন্যান্য বিভাগের।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ।
এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কমবেশি হলেও দুই মাসের বেশি সময় ধরে দেশে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক অবস্থায় পৌঁছেছে। করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু কয়েক গুণ বেড়েছে।
গত জুলাই মাসে দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ১৮২ জনের। প্রায় দেড় বছর ধরে চলা এ মহামারিতে এর আগে কোনো মাসে এত মৃত্যু দেখেনি বাংলাদেশ। এর আগে বেশি মৃত্যু হয়েছিল গত এপ্রিলে ২ হাজার ৪০৪ জনের।
বর্তমানে সারা বিশ্বেই করোনার ডেলটা ধরনের দাপট চলছে। এরই মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৪২টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার অতিসংক্রামক এ ধরন ছড়িয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়েই করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে।