নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : অবস্থা যেদিকে যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটের ফল নিয়ে এবারও ২০০০ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে।
নানা নাটকীয়তার পর ওই বছর চূড়ান্ত বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয় আদালত থেকে; জর্জ ডব্লিউ বুশকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হয় শেষ পর্যন্ত। এ ঘটনার ২০ বছর পর আবার সম্ভবত একই পরিণতি হতে যাচ্ছে এবারের নির্বাচনেরও।
ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন আর রিপাবলিকান প্রার্থী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ভোটের মাঠে লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোটের লক্ষ্যে অপেক্ষা করছেন দুইজনই। তবে সার্বিক ফলাফলে এখন পর্যন্ত এগিয়ে থাকার খবর পাওয়া গেছে বাইডেনেরই।
ট্রাম্প ফলাফলে এগিয়ে না থাকলেও গণ্ডগোল বাধিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে তার সমর্থকরা মামলা করেছেন ভোট গণনা বন্ধের দাবিতে। মিথ্যা কারচুপিরও অভিযোগ তুলেছেন। বারবার বলেছেন আদালতে যাবেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তাহলে কী ঘটনা ২০০০ সালের মতোই ঘটতে যাচ্ছে?
বিবিসি বলছে, নির্বাচনে ভোট গণনার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এবার যেমন দুই পক্ষের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে, সেরকমই দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল ২০ বছর আগের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে, ফ্লোরিডার ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে।
ডেমোক্র্যাট আল গোর ও রিপাবলিকান জর্জ ডব্লিউ বুশের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল। তবে ভোটের দিন মনে হচ্ছিল যে আল গোরই জিততে যাচ্ছেন।
জনপ্রিয় ভোটে গোর অনেক এগিয়ে থাকলেও ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে দুই প্রার্থীর লড়াই হচ্ছিল। সব নির্ভর করছিল ফ্লোরিডার ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট কার পক্ষে যায়, তার ওপর।
ওই সময় ফ্লোরিডা রাজ্যে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনী নীতি অনুসরণ করা হচ্ছিল। ভোট গণনার নির্ভুলতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর ভোট পুনর্গণনার দাবি ওঠে। বুশ শিবিরের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গোর শিবির চারটি কাউন্টিতে ভোট পুনর্গণনার আবেদন করে।
শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ পর মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট ৫-৪ ভোটে জর্জ বুশকে বিজয়ী ঘোষণা করে। এখন পর্যন্ত আমেরিকার শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপে নির্বাচনের ফল নির্ধারণের ঘটনা ওই একবারই।