মেয়েকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরলেন সেই রিকশাচালক বাবা

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : রংপুর মেডিকেল কলেজে ৯ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর শিশু জান্নাতকে নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ঠাকুরগাঁও থেকে আসা রিকশাচালক বাবা তারেক ইসলাম।

রোববার (২৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা। এ সময় রিকশাটিও পিকআপভ্যানে নেওয়া হয়। বাড়ি ফেরার সময় সন্তানের চিকিৎসায় সহায়তার হাত বাড়ানো সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে পরিবারটি।

বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুল হক ওই শিশুটির সুস্থতার ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সোমবার (১৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় শিশু জান্নাতের অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর ৭ দিন হাসপাতালের পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল শিশুটিকে। পেটের মধ্যে নাড়ি পেঁচিয়ে যাওয়ায় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। বর্তমানে শিশুটির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

৯ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফেরার আগে বাবা তারেক ইসলাম বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। শূন্য হাতে বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলাম। আমার বাচ্চার অপারেশন করাতে এক টাকা খরচ করতে হয়নি। এখন বাচ্চা সুস্থ হয়েছে। বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার করার পর দেশ-বিদেশ থেকে যত টাকা অনুদান পেয়েছি, বাচ্চার ভবিষ্যতের জন্য সেই টাকা দিয়ে জমিজমা কিনেছি।

সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন আমার কষ্টকে মিডিয়ায় প্রচার করায় স্বপ্ন নামে একটি সুপারশপ প্রতিষ্ঠান আমার অসুস্থ শিশুর চিকিৎসাসেবার যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করেছে। এ ছাড়া রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উই ফর দেমসহ বিভিন্ন সংগঠন, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক অনুদান পেয়েছি। অথচ যখন ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা করেছিলাম, তখন আমার কাছে একশ টাকাও ছিল না।

জান্নাতের মা সুলতানা বেগম বলেন, আলহামদুল্লিাহ এখন খুব ভালো লাগছে। আমার মেয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছে। সবার সহযোগিতা না পেলে হয়তো অপারেশন করতে পারতাম না। আমরা সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

Share