সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে বিদায় নিলেন মুমিনুল

নয়াবার্তা ক্রীড়া ডেস্ক : বিদেশের মাটিতে বড় ইনিংস খেলতে পারেন না বলে মুমিনুল হকের গায়ে অপবাদ রয়েছে। গত বছরের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে সেই অপবাদ কিছুটা মুছে ফেলারও চেষ্টা করেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এবার সুযোগ ছিল সেটিতে পুরোপুরি মুছে ফেলার। কিন্তু অল্পের জন্য ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও ফিরে গেছেন এই ব্যাটার।

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে নিজেদের ইনিংসে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ। এতে বড় কৃতিত্ব অধিনায়ক মুমিনুল হক ও লিটন দাসের। তাদের দুজনের ১৫৮ রানের জুটির ওপর ভর করেই নিউজিল্যান্ডের করা রান টপকে বড় লিডের পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যক্তিগত ৮৮ রান করে আউট হয়ে ফিরে গেছেন মুমিনুল। ২৪৪ বল মোকাবিলায় এই রান সংগ্রহ করেন তিনি। ট্রেন্ট বোল্টের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন টেস্ট স্পেশালিস্ট।

 প্রথম সেশনে দুই উইকেট হারালেও দ্বিতীয় সেশনে জুটি গড়ে খেলছেন লিটন দাস ও মুমিনুল হক। দুজনেই ব্যক্তিগত ফিফটি পূর্ণ করে লিড এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সফরকারীদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৬১ রান। ৮৮ রানে আউট হয়ে ফিরে গেছেন মুমিনুল। ৭৬ রানে লিটন দাস অপরাজিত রয়েছেন। বাংলাদেশের লিড ৪২ রান।

বাংলাদেশ দিন শুরু করে ২ উইকেটে ১৭৫ রান নিয়ে। আগের দিন দারুণ ধৈর্য দেখানো জয় আজ শুরু থেকেই ছিলেন নড়বড়ে। কিন্ত অনিয়ন্ত্রিত শটে ইনিংসের সমাপ্তি টানলেন তিনি। অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল কাট করতে গিয়েছিলেন। শরীর বলের পজিশনে গেলেও শট ছিল অনিয়ন্ত্রিত। টাইমিংয়ে গড়বড় হয়েছে। ফলে নিকোলসের তালুবন্দি হয়ে ২২৮ বলে ৭৮ রানে বিদায় নেন জয়। তার পর মুমিনুলও ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন কাইল জেমিসনকে। কিন্তু কিউই পেসার তা হাতে জমাতে পারেননি।

নতুন বল নেওয়ার আগের ওভারে তো ভাগ্যের ছোঁয়ায় বেঁচে যান মুমিনুল। নিল ওয়াগনারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন। কিন্তু থার্ড আম্পায়ার পায়ের নো বল দেওয়ায় জীবন পান বাংলাদেশ অধিনায়ক। লাঞ্চ বিরতির ২০ মিনিট আগে ব্যক্তিগত ১২ রানে ট্রেন্ট বোল্টের বলে বোল্ড হন মুশফিক।

Share