ক্যামেরার সামনে অল্প বয়সে নগ্ন হওয়ায় অস্কার মনোনীত অভিনেত্রী আমান্ডা সেফ্রিড এর আফসোস

বিনোদন ডেস্ক : মাত্র ১৫ বছর বয়সে সোপ অপেরা ‘অ্যাজ দ্য ওয়ার্ল্ড টার্নস’ দিয়ে বিনোদন দুনিয়ায় পা রাখেন। এরপর করেন একের পর এক টিভি সিরিজ, সিনেমা। ২০০৪ সালে টিভি সিরিজ ‘মিন গার্লস’ দিয়ে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পান। এরপর প্রায় দুই দশকে নিজের অভিনয়দক্ষতা দিয়ে অস্কারসহ অনেক বড় পুরস্কারেই মনোনীত হয়েছেন। তিনি আর কেউ নন, মার্কিন অভিনেত্রী আমান্ডা সেফ্রিড। ৩৬ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী এখন নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক সচেতন, কোন ছবিতে অভিনয় করবেন আর করবেন না—অনেক ভেবে সেসব ঠিক করেন। তবে ক্যারিয়ার শুরুর দিকে এত সব ভাবনার অবকাশ ছিল না। ফলে না চাইলেও অনেক কিছু করতে হতো। যার একটি ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই ক্যামেরার সামনে নগ্ন হওয়া। মাত্র ১৯ বছর বয়সে নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় নিয়ে এখনো আফসোস করেন সেফ্রিড।

সম্প্রতি পোর্টার ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, কাজ হারানোর ভয় থেকেই নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেফ্রিড বলেন, ‘১৯ বছর বয়সী একজনকে অন্তর্বাস ছাড়া হেঁটে যেতে বললে মনে হবে মজা–টজা করছে বোধ হয়। কিন্তু এটা ঘটেছিল। আমার বয়স তখন ছিল ১৯, কাউকে হতাশ করতে চাইনি। আমি কাজটা হারাতে চাইনি।’

তবে অভিনেত্রী হিসেবে জনপ্রিয় হওয়ার পর পর্দায় নগ্ন ও অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় নিয়ে আরও সতর্ক হয়েছেন সেফ্রিড। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পর্দায় নগ্ন বা অন্তরঙ্গ দৃশ্য আদৌ জরুরি কি না, সে বিষয়ে আগে নিশ্চিত হয়ে নিই। যত বয়স হবেন, পরিণত হবেন, বুঝতে পারবেন এ ধরনের দৃশ্যে অভিনয় সহজ নয়। এটা খুবই ভয়ের ও অস্বস্তিকর হতে পারে।’

সাক্ষাৎকারে আমান্ডা সেফ্রিড কথা বলেন অল্প বয়সে পাওয়া তারকাখ্যাতি নিয়েও, ‘এখন কম বয়সে খ্যাতি পাওয়া খুবই বাজে ব্যাপার। খ্যাতি আপনাকে দুনিয়ার সামনে অনিরাপদ করে তোলে। আমি দেখি, তরুণ শিল্পীরাও এখন নিজস্ব নিরাপত্তা নিয়ে ঘোরে, তাদের সহকারীও থাকে। তারা মনে করে, দুনিয়া বদলে গেছে। এটা (খ্যাতি) সামলানো ভীষণ চাপের।’

Share