বিনোদন প্রতিবেদক : ‘৬২৪৯৪৯৫৯’ ইভেন্ট রেফারেন্সের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য পুলিশের নিকট ধর্ষণের অভিযোগকারী বলছেন, তিনি তাঁর বিষয়ে কারো বিরুদ্ধে কাউকে কোনো প্রকার অভিযোগ করার অনুমতি দেননি। ‘ভিক্টিম সেই নারী’ বিষয়টিকে নিজের ব্যাক্তিগত দাবি করে বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত ঘটনা নিয়ে যেসব কথা হচ্ছে, তার জন্য আমি কাউকে অনুমতি দিইনি।’
সম্প্রতি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার অন্যতম প্রযোজক রহমত উল্ল্যাহ ‘ধর্ষণের’ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আর এটা নিয়ে তোলপাড় দেশীয় চলচ্চিত্রপাড়া।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শাকিব। তিনি বলেন, প্রতারণারও একটা মাত্রা থাকা উচিত। পর্দায় আমরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলি, প্রতিবাদ করি। দিন শেষে কিন্তু ন্যায়েরই জয় হয়। শুধু রিল কিংবা পর্দায় নয়, রিয়েল লাইফেও যারা সত্যের পক্ষে থেকে লড়াই করেন, প্রতিবাদ করেন, তাদেরই জয় হয়। আজকেও আমাদের জয় হলো। যারা অসত্য ও ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে এসেছিল, তারা কিন্তু পালিয়ে গেছে। প্রয়োজনে তাকে বিদেশ থেকে ধরে আনা হবে।
অন্য দিকে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার অন্যতম নারী প্রযোজক, যিনি শাকিবের এমন আচরণে ভুক্তভোগী, মুখ খুললেন তিনিও। বাংলাদেশ ও কলকাতার গণমাধ্যমে ওই নারীর বক্তব্য প্রকাশ হয়েছে। সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমার প্রসঙ্গ টেনে আমার হয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে, সে সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। সিনেমাটি সম্পূর্ণ করা হবে কি না, তা নিয়েও আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আর আমার ব্যক্তিগত ঘটনা নিয়ে যেসব কথা হচ্ছে, তার জন্য আমি কাউকে অনুমতি দিইনি। এমনকি এই প্রসঙ্গ নিয়ে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, তা-ও আমি জানতাম না। ২০১৬ সালের অভিযোগটি এখনো তদন্তাধীন। কী করব, তা ভবিষ্যতে বিবেচনা করব। এখন আমি এসব নিয়ে ভাবছি না।’
এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য পুলিশের ‘ইভেন্ট রেফারেন্স নম্বর ৬২৪৯৪৯৫৯’-এর তথ্যমতে, শাকিব খান রানার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ প্রতিবেদনের অস্তিত্ব রয়েছে। ইভেন্টকে বাংলাদেশের সাধারণ ডায়রির (জিডি) সমতুল্য বলা যায়।
সেখানে ঘটনাবলির সারসংক্ষেপে বলা আছে, ২০১৬ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর শাকিব খান সিডনিতে একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর মধ্যরাতে শাকিব খান হোটেলে ফিরে যান। সেখানে একটি অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে শাকিব খান ও সহপ্রযোজক এক নারীকে হোটেলে রেখে নিজ বাড়িতে চলে যান রহমত উল্লাহ। পরদিন ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে সেই নারীর ফোন পেয়ে তিনি আবার সেই হোটেলে যান এবং সেখান থেকে তাঁকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে আসেন।
আরো জানা যায়, একই দিন একটি হাসপাতালের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সিডনির সেন্ট জর্জ থানায় একটি বক্তব্য দেন ওই নারী। এ বক্তব্যের সাক্ষ্য হিসেবে পুলিশের কাছে বয়ান দেন রহমত উল্লাহ। পরদিন শাকিব খান অস্ট্রেলিয়া ত্যাগ করেন।
পরবর্তীতে শাকিব খান যখন দুই বছর পর অস্ট্রেলিয়ায় যান তখন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদিকে, শাকিব খান বৃহস্পতিবার বলেন রহমত উল্ল্যাহ অস্ট্রেলিয়ার পুলিশকে বোকা বানিয়েছে।