হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়ে বাথরুমে প্রবেশ করেন রাফি

মামলায় অভিযোগ

নয়াবার্ত‍া প্রতিবেদক : ছোট পর্দার অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তার বয়ফ্রেন্ড মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন রাফির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন হিমুর মামা নাহিদ আক্তার। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামি রাফির ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ও ভিগো আইডি ব্লক দেন হিমু। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হলে রাফি হিমুকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচনা দিয়ে বাথরুমে প্রবেশ করেন। হিমু বিকেল ৩টার পর থেকে ৫টা পর্যন্ত যেকোনো সময়ে আত্মহত্যা করেন।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাতে হিমুর মামা নাহিদ আক্তার এ মামলা দায়ের করেন। আজ শুক্রবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবীর তা গ্রহণ করেছেন। রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সাব্বির হোসেনকে মামলাটি তদন্ত করে আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলায় নাহিদ আক্তার অভিযোগ করেছেন, জিয়াউদ্দিন রাফি (৩৬) হিমুর বয়ফ্রেন্ড। ছয় মাস আগে থেকে তিনি নিয়মিত হিমুর বাসায় যাতায়াত এবং মাঝে মধ্যে রাত্রীযাপন করতেন। ১ নভেম্বর রাফির মোবাইল নম্বর ও ভিগো আইডি ব্লক দেন হিমু। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়। ২ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে রাফি বাসায় এসে কলিং বেল দেন। এসময় হিমুর মেকআপ আর্টিস্ট মিহির দরজা খুলে দিলে তিনি বাসার ভেতরে যান। মিহির তার রুমে চলে যান। ৫টার দিকে রাফি মিহিরের রুমে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বলেন, হিমু আত্মহত্যা করেছে। তখন মিহির তাকে জিজ্ঞাসা করে, আপনি-তো রুমেই ছিলেন। তখন তিনি বাথরুমে ছিলেন বলে জানান। এসময় হিমু রুমের সিলিংফ্যানের হুকে রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মিহির সঙ্গে সঙ্গে হিমুর রুমে ঢুকে তাকে গলায় রশি লাগিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। রুমে থাকা দুটি কাঁচের গ্লাস ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তারা দুজন হিমুকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন রাফি হিমুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটি নিয়ে কৌশলে চলে যান।

মামলা দায়েরের পর জিয়াউদ্দিন রাফিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Share