নয়াবার্তা প্রতিবেদক : চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) সামগ্রিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্য, কানাডা ও নতুন বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়লেও কমেছে যুক্তরাষ্ট্রে। যদিও গত অর্থবছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি নিম্নমুখী ধারায় রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এ তথ্য জানিয়েছে। এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে ৩ হাজার ২৮৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে ইইউর বাজারে ১ হাজার ৬২৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি। যদিও গত ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে এই বাজারে প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। তার মানে চলতি অর্থবছর ইইউতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির গতি কিছুটা কমেছে।
ইইউর মধ্যে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের বড় বাজার জার্মানি। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে এই বাজারে ৪০৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৬৩ শতাংশ কম।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানির নেতিবাচক ধারা থেকে এখনো বের হতে পারেনি বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই বাজারে ৫৪৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ কম। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৮৫২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। তখন রপ্তানি কমেছিল সাড়ে ৫ শতাংশ।
এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের বাজারে ৩৮৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ ছাড়া কানাডায় রপ্তানি হয়েছে ১০০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এই বাজারে রপ্তানি বেড়েছে ১ দশমিক ৮১ শতাংশ।
বিজিএমইএ জানায়, নতুন বাজারে চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ৬৩০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রপ্তানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৮৩ শতাংশ। নতুন বাজারের মধ্যে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ায় তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়লেও ভারতে কমেছে। ভারতে চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ৫৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রপ্তানি কমেছে ২৩ শতাংশ।