কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকে দুর্নীতির অভিযোগ

আনোয়ারা পারভীন : কাস্টম কর্মকর্তা ছাবেদুর রহমান মানিকের বিরুদ্ধে কর্ম জীবনে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর এক ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশনে তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, কাস্টম কর্মকর্তা ছাবেদুর রহমান মানিকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগে বলা হয়েছে, এই কাস্টমস কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় থাকাকালীন ওই এলাকার লালপুর এলাকায় ১০ শতাংশ জমি কিনে সেখানে দৃষ্টিনন্দন বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন। থানার পাশে তার আরো ১০ কাঠা জমি রয়েছে। যার বাজার মূল্য শত কোটি টাকা।তিনি রাজশাহীতে কর্মরত থাকাকালীন দেশের বাড়ি পাবনায় ১০ কাঠা জমি কিনে সেখানে বহু দল ভবন নির্মাণ করেছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়াও তিনি পাবনায় স্ত্রী মমতা খাতুন ওরফে ময়নার নামে কিনেছেন তিন বিঘা জমি।পাবনার ফরিদপুর পৌরসভার কাশিপুর মৌজায় ১৭ শতাংশ জমির উপর নির্মাণ করেছেন ভবন। তিনি কাশিপুর মৌজায় নিজ বাড়ির পাশে ৮ বিঘা জমি কিনেছেন। যার বাজার মূল্য ৫০ কোটি টাকা। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হওয়ার পর ওই জমির মূল্য আরো বেড়ে গেছে। এছাড়াও ফরিদপুর মৌজায় তার স্ত্রীর নামে আরো ৪ বিঘা জমে কিনেছেন। ছাবেদুর রহমান মানিক নিজের নামে এলাকায় কিনেছেন ৫ বিঘা জমি। স্ত্রী মমতা খাতুন ময়নার নামে ও দুই ছেলের নামে বিভিন্ন ব্যাংকের রয়েছে ৫০ কোটি টাকা। তার স্ত্রীর রয়েছে প্রায় পাঁচশত ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার।

অভিযোগে বলা হয়, ছাবেদুর রহমান মানিক কর্মজীবনে নারী লিপ্সু হওয়ায় তার জীবনে এসেছে অনেক নারী। তাদের নিয়ে তিনি প্রায়শ বিদেশ ভ্রমণ করতেন। বিনিময়ে তাদের দিয়েছেন মোটা অংকের টাকা ও বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান উপহার সামগ্রী।

অভিযোগে বলা হয়, তিনি তার এক ছেলেকে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে কাস্টমসে ও অন্য ছেলেকে সেনাবাহিনীতে চাকরি দিয়েছেন। তিনি নিজে একাধিক আওয়ামীলীগ নেতাকে ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পোস্টিং নিয়েছেন।

দুদকে দায়েরকৃত অভিযোগে ছাবেদুর রহমান মানিকে আইনের আওতায় এনে এসব অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়।

Share