নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রানঘাতী করোনা ভাইরাসের কবলে পড়েছে বাংলাদেশ। এর প্রাদুর্ভাবরোধে সরকার সচেতনমূলক নানা কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেছে। এরসঙ্গে জনগণকে ঘর থেকে বের না হতেও নিষেধ করেছে। আর যারা ঘর থেকে রাস্তায় বের হবেন তাদের পড়তে হবে জেরার মুখে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকার রাস্তায় চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি মিডিয়া মো. সোহেল রানা বলেন, আমরা জনগণকে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সচেতন করতে নানা কর্মকাণ্ড হাতে নিয়েছি। এরপরও জনগণকে যেন নিরাপদে রাখা যায় তারই অংশ হিসেবে তাদের ঘরে থাকা নিশ্চিত করার কাজ শুরু হয়েছে। এ কারণে অনুরোধ থাকবে কেউ যেন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হন। সে ক্ষেত্রে তাদের জেরার মুখোমুখি হতে হবে। উপযুক্ত কারণ ব্যাখ্যা করতে না পারলে তার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত এ আদেশ অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পুলিশ জানিয়ে, পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।
একাধিক থানা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশিরভাগ সময়ই তাদের এখন কাটছে মানুষজনকে ঘরে রাখতে। সার্বক্ষণিক টহল অব্যাহত আছে। প্রতি থানায় দুটি করে বিশেষ টিম করা হয়েছে। যেন জনগণ কোনভাবেই রাস্তায় না থাকতে পারেন এবং একই সঙ্গে জনসমাগম থাকতে না পারে সে ব্যবস্থা করা। এ কারণে বলা যায় এক প্রকার লকডাউন শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে ভাইরাসটি মোকাবিলায় সবাইকে সহযোগিতাও করতে হবে।
এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) সূত্র জানায়, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কাজ শুরু করেছে সশস্ত্র বাহিনী। রাস্তায় টহল দেওয়ার কাজ করছেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। তারা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নাগরিকদের হোম কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।