নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ লোক করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কীভাবে প্রতিরোধ করতে হয়, তা জানেন। এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে আবার ৫২ শতাংশের কিছু বেশি লোক মাস্ক ব্যবহার করেন।
জনসাধারণ ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মধ্যে করোনাভাইরাস সম্পর্কে জ্ঞান বা সচেতনতার ব্যাপ্তি, মনোভাব এবং এর প্রয়োগ নিরূপণের লক্ষ্যে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা যৌথভাবে ৩টি গবেষণার ফল প্রকাশ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে সে গবেষণা প্রতিবেদন পাঠানো হয়।
গবেষণাটি এ বছরের মার্চ থেকে আগস্টের মধ্যে পরিচালনা করা হয়। এতে অংশ নেন ১ হাজার ৫৪৯ জন, ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদে কর্মরত ৬০৪ জন এবং ৩৯৯ জন শিক্ষার্থী।
জনসাধারণের মধ্যে পরিচালিত গবেষণাটি ঢাকা মহানগর ও দেশের উত্তরাঞ্চলের দুটি গ্রামীণ জনপদে পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে ৬৯ দশমিক ৮ ভাগ লোক করোনাভাইরাস কীভাবে ছড়ায়, সে সম্পর্কে জানেন এবং সামাজিক বা পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি ৭০ ভাগ উত্তরদাতা সঠিকভাবে জানেন। এ ছাড়া মাস্ক ব্যবহার এবং হাত ধোয়ার বিষয়ে যথাক্রমে ৭৮ দশমিক ৪ ভাগ এবং ৮৭ দশমিক ৬ ভাগ ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ কীভাবে প্রতিরোধ করতে হয়, সে বিষয়ে শতকরা ৫১ দশমিক ৬ ভাগ লোক জানেন।
এই উত্তরদাতাদের মধ্যে ৫২ দশমিক ১ ভাগ মাস্ক ব্যবহার করেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানো এবং সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে ধারণা শহুরে জনগোষ্ঠীর চেয়ে গ্রামের মানুষের অনেক কম। জনসাধারণের মধ্যে করোনাভাইরাসকে মরণব্যাধি মনে করেন ৭৪ শতাংশ।
রাজধানীর বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সহযোগী কর্মীদের ওপর পরিচালিত গবেষণায় ৭৫ শতাংশ করোনা ছড়ানো ও প্রতিরোধ বিষয়ে জানেন এবং ৭৬ শতাংশ ব্যক্তিপর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি চর্চা করেন। এর মধ্যে ৭৭ শতাংশ লোক মনে করেন, করোনা পরিস্থিতি সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরের শিক্ষার্থীদের ওপর পরিচালিত তৃতীয় গবেষণায় উঠে এসেছে, ৭১ দশমিক ৬৮ শতাংশের করোনাভাইরাস সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৩২ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা বাড়িতে বা বাইরে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই আড্ডা দেন। ১৬ শতাংশ রেস্টুরেন্ট বা খাবারের দোকানে যান। করোনাভাইরাস–সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা বেশি জানেন।