নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। অস্ত্রোপচারের পর জ্ঞান ফিরেছে তার; কথাও বলেছেন তিনি।
ইউএনও ওয়াহিদার মাথায় অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়া রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক জাহেদ হোসেন এতথ্য জানিয়েছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রাত দেড়টার দিকে ইউএনও ওয়াহিদার জ্ঞান ফেরে। তিনি কথাও বলেন। তার শরীরের ডান পাশ এখনো অবশ। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তার মাথায় ৯টি আঘাতের ক্ষত রয়েছে।
গত বুধবার রাতে ঘোড়াঘাটে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে ঢুকে তার ও তার বাবার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। উভয়েরই শরীর ও মাথায় আঘাত লেগেছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় বৃহস্পতিবার প্রথমে তাদের রংপুরের একটি বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরে দুপুরে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়। তার বাবা রংপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তির পর বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টা থেকে সোয়া ১১টা পর্যন্ত ওয়াহিদা খানমের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।
ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে তার বড় ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
শুক্রবার ভোরে পুলিশ ও র্যাটবের যৌথ অভিযানে দিনাজপুরের হাকিমপুর থেকে তার ওপর হামলার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুইজনই হামলাকারী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
দিনাজপুরের হাকিমপুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় দুইজন গ্রেপ্তার হয়েছে। পুলিশ আর র্যাবের যৌথ অভিযানে তারা ধরা পড়ে। তারা দু’জন ইউএনওর বাসায় ঢোকেন। সিসিটিভিতে তাদেরই দেখা গেছে।