কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় চীনা নাগরিকসহ গ্রেপ্তার দুই

নয়াবার্ত‍া প্রতিবেদক : ঢাকা: বিয়ে করে চীনে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক চীনা নাগরিক ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ওই চীনের নাগরিক হলেন, জি সেন (৫৮) ও তার সহযোগী বাংলাদেশি নাগরিক হীরা চাকমা (২৫)।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, রোববার (২৭ আগস্ট) রাতে উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওসি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার ওই কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে। গ্রেপ্তারের পর দুই আসামিকে সোমবার (২৮ আগস্ট) আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের নির্দেশে দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উদ্ধারের পর ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর ভুক্তভোগীকে তার পরিবারের হেফাজতে রাখা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

থানা সূত্রে জানা গেছে, কলেজছাত্রীর অভিযোগ জানায়, বিয়ে করে চীনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ভুক্তভোগীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছেন চীনা নাগরিক জি সেন। আর এ ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগী হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক (নারী) হীরা চাকমা।

ঘটনার পর রোববার (২৭ আগস্ট) ওই ভুক্তভোগীকে একটি কফি শপে নিয়ে যান জে সেন ও হীরা চাকমা। সেখানে অন্য এক নারীকে বিষয়টি জানিয়ে সহযোগিতা চায় ভুক্তভোগী। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হলে ছাত্রীটিকে উদ্ধার করা হয় এবং দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ আরও জানায়, ওই ছাত্রী সরকারি একটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি তিনি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে পার্টটাইম কাজ করেন। চীনা নাগরিক জে সেনের সহযোগী হীরা চাকমার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় ভুক্তভোগীর। তাকে চীনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে প্রলোভন দেখিয়ে ছিলেন হীরা চাকমা। পরে ফাঁদে ফেলে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে চীনের নাগরিক জে সেনের উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের একটি বাসায় নিয়ে যান হীরা চাকমা। ওইদিন কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করেন জে সেন। ওই ছাত্রী বাসা থেকে চলে যেতে চাইলে জে সেনের সঙ্গে বিয়ের কথা বলা হয়। পরদিন একই কথা বলে আবারও ধর্ষণ করা হয় তাকে।

Share