চট্টগ্রামের আলোচিত অপহৃত রূপা শীল ১০ বছর পর উদ্ধার

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামের আলোচিত অপহৃত রূপা শীলকে ১০ বছর পর পিবিআই উদ্ধার করেছে। এর মাধ্যমে কথিত ‘অপহরণ’ নাটক উন্মোচন হয়েছে।

মামার বাড়ি যাওয়ার নাম করে রূপার প্রেমিকের সঙ্গে পালানো, পরে বিয়ে করে একসঙ্গে বসবাস- সবই জানত তার পরিবার। এরপরও পরিকল্পিতভাবে ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অপহরণ মামলা করেন মেয়েটির বাবা।

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে অপহরণ নাটকের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর বিশেষ পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা। আগের দিন শুক্রবার নোয়াখালীর সুধারাম থানার গুপ্তাংক গ্রাম থেকে রুপাকে তার চার বছরের ছেলে সন্তানসহ উদ্ধার করা হয়। রুপা শীল ওরফে প্রিয়া শীল ওরফে রিয়া তালুকদার চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার দৌলতপুর শীলপাড়া বড় উঠান এলাকার তিলক শীলের মেয়ে।

পিবিআই চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, রনি নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠায় রুপা মামার বাড়িতে যাওয়ার নাম করে পালিয়ে যান। পরে প্রেমিক রনিকে বিয়ে করে পৃথকভাবে বসবাস শুরু করেন। তবে সবকিছুই বাবা তিলক শীল ও তার পরিবার জানতেন। এরপরও তিলক ৬ জনের বিরুদ্ধে মেয়ে রুপাকে অপহরণের মামলা করেন।

পিবিআই জানায়, রুপা পালিয়ে প্রথমে প্রেমিক রনিকে বিয়ে করেন। এরপর সংসার করাকালীন টিপু তালুকদারের সঙ্গে পরিচয় হয়। ২ বছর সংসার করার পর রনির সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়। তারপর ২০১৮ সালে টিপু তালুকদারকে বিয়ে করেন। এই ঘরে তার একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। রনি তালুকদারকে বিয়ের বিষয়টিও রুপার মা-বাবা জানতেন।

২০১৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তিলক শীল চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-১ এ সুপ্লব দাশ ওরফে শিপলু, সুজন দে, বিল্পব দাশ, সুমন দাশ, তাপস, মিন্টু দাশ ও শোভা রানি দাশের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর মামলাটি তদন্ত ও ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন আদালত। এরপর রুপাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে পিবিআই।

Share