নয়াবার্তা ডেস্ক : তাঁকে বলা হয় ওটিটি ‘রানি’। বিশেষ করে ওয়েব সিরিজ ‘মির্জাপুর’ শ্রিয়া পিলগাঁওকরকে খ্যাতির তুঙ্গে পৌঁছে দিয়েছে। এরপর একের পর এক সিরিজে নজর কেড়েছেন শ্রিয়া। সম্প্রতি ‘তাজা খবর’ সিরিজে অভিনয় করে বাহবা কুড়াতে ব্যস্ত তিনি। তবে প্রশংসার পাশে সমালোচনাকেও খোলা মনে স্বাগত জানান এই অভিনেত্রী।
শ্রিয়ার রক্তে অভিনয়। কারণ, তাঁর মা খ্যাতনামা অভিনেত্রী সুপ্রিয়া পিলগাঁওকর ও বাবা অভিনেতা শচীন পিলগাঁওকর। ছোট থেকে বাবা-মায়ের অভিনয় দেখে বড় হওয়া শ্রিয়া বলেন, ‘ছোট থেকেই আমি শিল্পমনস্ক। মঞ্চ সব সময় আকর্ষণ করত। মঞ্চেই আমি স্বচ্ছন্দ থাকতাম। স্কুলে প্রচুর নাটক করতাম। বাবা প্রচুর সিনেমা দেখাতেন। এমনকি আমরা দুজনে বসে অ্যানিমেশন ছবিও দেখতাম। বাবা গুরু দত্ত ও দেব আনন্দের ছবি দেখাতেন। এ ছাড়া ইংরেজি ক্ল্যাসিক ছবি প্রচুর দেখতাম।’
‘তাজা খবর’ সিরিজে ‘মধুবালা’ নামের এক যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করে চমকে দিয়েছেন শ্রিয়া। এ প্রসঙ্গে শ্রিয়া বলেছেন, ‘আমার অভিনীত চরিত্রগুলোর মধ্যে বাবা-মাকে সবচেয়ে অবাক করেছে মধুবালা। তাঁরা বিশ্বাসই করতে পারেননি আমি যৌনকর্মীর চরিত্রকে এভাবে পর্দায় তুলে ধরতে পারব। এ ছাড়া তাঁদের কাছে গিল্টি মাইন্ডস-এর কাসফ চরিত্রটিও অত্যন্ত বিশেষ।’
প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনাকেও মাথা পেতে নিতে জানেন শ্রিয়া। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আপনি যা করবেন তা সব সময় নিখুঁত হবে, এমন কোনো কথা নেই। সেখানে ভুল থাকতেই পারে। আমি সেই সব সমালোচকদের রিভিউ পড়ি, যাঁরা নির্মোহভাবে লেখেন। তাঁরা আমার সম্পর্কে ইতিবাচক রিভিউ না দিলেও সেটা খুঁটিয়ে পড়ি। এই সব সমালোচনা আমাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।’
শ্রিয়ার বলিউডে অভিষেক হয়েছিল শাহরুখ খানের নায়িকা হিসেবে। তাঁকে কিং খানের সঙ্গে ‘ফ্যান’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল।
শ্রিয়া হেসে বলেন, ‘আমি তাঁর সব নায়িকাদের মধ্যে একজন।’ ‘ফ্যান’ ছবির শুটিং সূত্রে বলিউডের বাদশাকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল শ্রিয়ার। কিং খানের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘শাহরুখের চিন্তাভাবনা দার্শনিকের মতো। এভাবেই তিনি কাজকেও দেখেন। তাঁর একটা কথা আমার সারা জীবন মনে থাকবে। শাহরুখ বলেছিলেন, কখনো ভেবো না নেগেটিভ না পজিটিভ চরিত্রে অভিনয় করছ। যে চরিত্রেই অভিনয় করো না কেন, তা ভালোবাসার সঙ্গে করবে।’