তালাক গোপন রেখে শারীরিক সম্পর্ক, তালাকী স্ত্রীর ধর্ষণ মামলা

নয়াবার্তা প্রতিনিধি : তালাকের তথ্য গোপন রেখে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ায় আশুলিয়ায় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন তার তালাকী দ্বিতীয় স্ত্রী (২৪)। আদালতের নির্দেশে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় আশুলিয়া থানায় এ মামলা করেন ওই নারী।

পাঁচ মাস আগে এই আওয়ামী লীগ নেতা তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দিলেও সেই নোটিশ গোপন করে এত দিন তিনি তার তালাকী দ্বিতীয় স্ত্রী সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে গেছেন। বিষয়টি জানার পর ধর্ষণ মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী। গত ১৭ এপ্রিল ওই ভুক্তভোগীকে তালাক দিলেও এই পাঁচ মাস সেই নোটিশ গোপন করে রেখেছিলেন অভিযুক্ত মোয়াজ্জেম হোসেন (৫৫) । এ সময় পর্যন্ত তিনি ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে গেছেন।

জানা গেছে, অভিযুক্ত মোয়াজ্জেম হোসেন ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার নয়ারহাট এলাকার চাকল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পাথালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে ওই নারীকে বিয়ে করেন মোয়াজ্জেম হোসেন। তবে বিয়ের পর তিনি নিজ বাড়িতে থেকেই মোয়াজ্জেমের সঙ্গে সংসার করতেন।

চলতি মাসের ৬ সেপ্টেম্বরে ভরণপোষণের খরচ চাইতে ভুক্তভোগী ওই নারী মোয়াজ্জেমের বাড়িতে গেলে তার হাতে তালাকের কাগজ ধরিয়ে দেওয়া হয়। তালাকনামার তারিখ অনুযায়ী গত ১৭ এপ্রিল ওই নারীকে তালাক দিয়েছিলেন বহিষ্কৃত এই আওয়ামী লীগ নেতা। কিন্তু বিষয়টি গোপন করে তিনি শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে গেছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোয়াজ্জেম হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

Share