প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১ হাজার ৭০০ কোটি বা ১৭ বিলিয়ন ডলার

সাত দিনে রিজার্ভ কমেছে ৬ কোটি ডলার

নয়াবার্ত‍া প্রতিবেদক : এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে ৬ কোটি মার্কিন ডলার। ফলে বর্তমানে রিজার্ভ কমে ২ হাজার ৮৯ কোটি ৭০ লাখ ৬০ হাজার ডলারে নেমে এসেছে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুসারে বর্তমানে প্রকৃত রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি বা ১৭ বিলিয়ন ডলারে। বৃহষ্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে রিজার্ভের এই চিত্র উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুসারে গত আগস্ট মাসের শুরুতে রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩৩০ কোটি ডলার। চলতি মাসের শুরুতে তা কমে ২ হাজার ১০৫ কোটি ডলারে নামে। এর মানে দুই মাসে রিজার্ভ কমে ২২৫ কোটি ডলার। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে আসে।

২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি বা ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। গত বছরের ২৫ অক্টোবর সেই রিজার্ভ কমে হয় ৩ হাজার ৫৮০ কোটি ৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার। ৮ মাসের ব্যবধানে গত ৩০ জুন রিজার্ভ কমে হয় ৩ হাজার ১২০ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর এর ৩ মাসের ব্যবধানে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রিজার্ভ কমে হয় ২ হাজার ৬৯০ কোটি ৭৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এক মাসের ব্যবধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী গত বুধবার রিজার্ভ ২ হাজার ৬৭০ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার ডলারে নেমেছে। অর্থাৎ এই সময়ে রিজার্ভ কমেছে ৯০৯ কোটি ৯২ লাখ ২০ হাজার ডলার। এর বাইরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। সেই হিসাব প্রকাশ করা হয় না। আইএমএফ সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১ হাজার ৭০০ কোটি বা ১৭ বিলিয়ন ডলারের কম।

বাংলাদেশকে দেওয়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের বেশ কয়েকটি শর্তের মধ্যে আছে আগামী ডিসেম্বরে প্রকৃত রিজার্ভ ২ হাজার ৬৮০ কোটি ডলারে রাখা। তবে শর্ত অনুযায়ী রিজার্ভ রাখতে পারবে না বলে আইএমএফকে জানিয়েছে বাংলাদেশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইএমএফ শর্ত শিথিল করেছে। নতুন লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে, প্রকৃত (নিট) রিজার্ভ রাখতে হবে ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ৮০০ কোটি এবং আগামী বছরের জুনের মধ্যে ২ হাজার কোটি ডলার। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এখন প্রকৃত যে রিজার্ভ আছে, তা দিয়ে তিন মাসের আমদানি খরচ মেটানো যাবে, অন্য কোনো খরচ নয়। সাধারণত একটি দেশের কাছে ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই হিসাবে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে বলা যায়।

Share