মরলে সবাইকে ফাঁসিয়েই মরব : পায়েল

নয়াবার্তা ডেস্ক : ‘আমি সুশান্ত নই, আমি পায়েল ঘোষ, মরলে সবাইকে ফাঁসিয়ে তবে মরব’—বাঙালি অভিনেত্রী পায়েল ঘোষের এ পোস্ট নেট দুনিয়ায় রীতিমতো হইচই ফেলেছে।

বলিউডের চিত্রনির্মাতা অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে ‘মি-টু’-র অভিযোগ এনে চর্চায় উঠে এসেছিলেন অভিনেত্রী পায়েল ঘোষ। এখন আবার তিনি চর্চায় তাঁর একাধিক পোস্টকে ঘিরে। পায়েল তাঁর পোস্টে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন। তিনি সম্প্রতি তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এক সুইসাইড নোট শেয়ার করেছেন। এ নোটে তিনি লিখেছেন, ‘আমি পায়েল ঘোষ। আমি যদি আত্মহত্যা বা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাই, তো এর দায় কে নেবে?’

এরপর পায়েল আরেকটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ওসিবারা পুলিশ স্টেশন থেকে পুলিশ আমার বাড়িতে এসেছিল। আমার কিছু হয়ে গেলে কেউ বাঁচবে না। আমার সাইকোথেরাপিস্টকে জিজ্ঞেস করুন যে আমি কী যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমি সুশান্ত নই। আমি পায়েল ঘোষ। আমি মরলে সবাইকে ফাঁসিয়ে তবে মরব।’

পায়েলের এ পোস্ট নেট দুনিয়ায় ক্রমে ছড়িয়ে পড়ছে। এই বলিউড অভিনেত্রীর শেষ পোস্টও শোরগোল ফেলে দিয়েছে। পায়েল এ পোস্টের মাধ্যমে বলিউড ইন্ডাস্ট্রির ওপর নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

এমনকি এ পোস্টে তিনি বলিউডের চর্চিত অভিনেত্রী উরফি জাভেদকেও রীতিমতো আক্রমণ করেছেন। পায়েল তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘উরফি জাভেদ অতটাই নগ্ন, যতটা বলিউড নিজে। নগ্ন মানুষদের আড্ডা এই বলিউড!’ এ পোস্টে তিনি অশালীন শব্দও প্রয়োগ করেছেন।

২০২০ সালে পায়েল ‘মি-টু’ অভিযানে শামিল হয়েছিলেন। চিত্রপরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে তিনি যৌন শোষণের অভিযোগ এনেছিলেন।

তাঁর অভিযোগ ছিল, ২০১৩ সালে তিনি যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। পায়েলের এই গুরুতর অভিযোগের পর ফিল্মি দুনিয়ায় রীতিমতো ঝড় বয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পরে সবকিছু ধামাচাপা পড়ে যায়। পায়েল ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, এসব ঘটনার পর থেকে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছেন।

তবে পায়েলের আত্মহত্যার হুমকিভরা এ চিঠি সবাইকে অবাক করেছে। সুশান্তের সঙ্গে নিজের নাম টেনে আনায় সবাই আরও অবাক হয়েছেন।

পায়েল বেশ কিছু দক্ষিণি ছবিতে কাজ করেছেন। তিনি ২০১৭ সালে ‘প্যাটেল কি পাঞ্জাবি শাদি’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রেখেছিলেন। এ ছবিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ঋষি কাপুর, প্রেম চোপড়ার মতো অভিনেতারা।

Share