সরকার গুগলের কাছে ‘সমালোচনা-মানহানির’ কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ বেশি করছে

নয়াবার্তা ডেস্ক : দেশে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার বাড়ছে। পাশাপাশি এসব মাধ্যমের ওপর নজরদারি-নিয়ন্ত্রণ বাড়ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরকারের তথ্য চাওয়াসহ কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ বেড়ে চলছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গুগলের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, প্রযুক্তি জায়ান্টটির কাছে চলতি বছর সরকার ‘সমালোচনা’ ও ‘মানহানি’-সংক্রান্ত কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ সবচেয়ে বেশি করেছে।

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অধিকার রক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা না থাকলে রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক হয় না। বর্তমানে মানুষের মতপ্রকাশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাহন ডিজিটাল মাধ্যম। কিন্তু ডিজিটাল মাধ্যমের গণতান্ত্রিক ব্যবহার থেকে বাংলাদেশ এখনো দূরে। বাংলাদেশের বাজার বড় হওয়ায় সরকারের এ ধরনের অনুরোধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর আপসের আশঙ্কা থেকে যায়।

নাগরিক, প্রশাসনিক, অপরাধ ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে সরকারি সংস্থাগুলো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবহারকারীর তথ্য চেয়ে থাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো বিভিন্ন দেশের সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য চাওয়ার বিষয় নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

ইউটিউব থেকে সমালোচনা-মানহানির কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ : ভিডিও শেয়ারিং ও সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবের মালিক প্রতিষ্ঠান গুগল। বাংলাদেশ সরকার ২০১১ সাল থেকে গুগলের কাছে কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ জানিয়ে আসছে।

গুগলের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কনটেন্ট সরিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০৮টি অনুরোধ পেয়েছে তারা। যেখানে ৩ হাজার ৮৯০ ধরনের ইস্যু ছিল।

২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ঘৃণা ছড়ানো, ধর্মীয় উসকানি, অ্যাডাল্ট কনটেন্ট, মানহানি, অজানা কারণ, কপিরাইট লঙ্ঘন ইস্যুতে ইউটিউব থেকে কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ জানায় সরকার।

মানহানি ইস্যুতে তথ্য চাওয়া শুরু হয় ২০১৪ সাল থেকে। ২০১৬ সাল থেকে যুক্ত হয় সরকারের সমালোচনা ও জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু। তথ্য চাওয়ার ক্ষেত্রে এ সময় ইউটিউবের পাশাপাশি গুগলের মালিকানাধীন জিমেইলও যুক্ত হয়। তবে সে সময় কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ কম ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময় তা বাড়তে থাকে।

২০১৮ সালে সরকারের ‘সমালোচনা’-সংক্রান্ত দুটি ইউটিউব কনটেন্ট নামানোর অনুরোধ করা হয়। ২০১৯ সালে একটি। ২০২০ সালের প্রথম ছয় মাসে একটি, পরের ছয় মাসে ৭৩টি। ২০২১ সালে ১৮০টি ইউটিউব কনটেন্ট নামানোর অনুরোধ জানানো হয়।

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সরকারের ‘সমালোচনা’-সংক্রান্ত ১৭৪টি ইউটিউব কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ করা হয়, যা সর্বোচ্চসংখ্যক। এ ছাড়া একই সময়ে ‘মানহানি’-সংক্রান্ত সবচেয়ে বেশি ৪৪৪টি কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ করা হয়।

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সরকারের অনুরোধে ৪৮ দশমিক ২ শতাংশ কনটেন্টের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি গুগল। এ ছাড়া ৪০ শতাংশের বেশি কনটেন্টের ক্ষেত্রে তারা যথেষ্ট তথ্য পায়নি।

গুগল ছয় মাস অন্তর, অর্থাৎ বছরে দুবার তথ্য চাওয়ার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাদের প্রতিবেদন ঘেঁটে দেখা যায়, ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪টি জরুরি তথ্য চাওয়া হয়েছিল। আইনি অনুরোধ ছিল ৩টি।

গুগলের কাছে তথ্য চেয়ে সরকারের কাছ থেকে অনুরোধের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে। ২০২১ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত জরুরি-ভিত্তিতে ১৭টি ও আইনি অনুরোধ ছিল ১০টি। এর মধ্য দিয়ে ৪৭টি অ্যাকাউন্ট ও ২৭ ব্যবহারকারী সম্পর্কে তথ্য চেয়ে অনুরোধ জানায় সরকার। অনুরোধ বিবেচনায় নিয়ে গুগল ২৬ শতাংশ তথ্য সরকারকে দিয়েছিল। তবে চলতি বছরের প্রতিবেদন এখনো দেয়নি গুগল।

চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ইউটিউব বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩০টি ভিডিও সরিয়েছে।

সবচেয়ে বেশি ভিডিও সরানোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে ভারত। এর পরে আছে ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, রাশিয়া, পাকিস্তান ও জার্মানি। বাংলাদেশের পরে আছে ভিয়েতনাম ও মেক্সিকো। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইউটিউব বাংলাদেশ থেকে ৩ লাখ ১০ হাজার ৩২৯টি ভিডিও সরিয়েছে।

কোনো দেশের স্থানীয় আইনের সঙ্গে সংগতি রেখে সে দেশে কিছু কনটেন্টের ওপর ফেসবুক নিষেধাজ্ঞা (রেসট্রিক্ট) দেয়। প্রতিষ্ঠানটির ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) থেকে ‘রিপোর্ট’ করা ১৪৪টি আইটেমের (পোস্ট, পেজ/গ্রুপ, প্রোফাইল) ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ফেসবুক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে গুজব, অশ্লীল আচরণ, ধর্মীয় কারণে হামলা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, অপপ্রচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিটিআরসি এই ‘রিপোর্ট’ করেছিল। গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১০৬টি ও জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১৮টি আইটেম ‘রেসট্রিক্ট’ করে ফেসবুক।

চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ফেসবুকের কাছ থেকে সরকার ১ হাজার ১৭১টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছিল। সরকার ফেসবুকের কাছে মোট ৬৫৯টি অনুরোধ করে। যার মধ্যে ৬১০টি ছিল আইনি প্রক্রিয়ায়, ৪৯টি জরুরি-ভিত্তিতে। সরকারের অনুরোধে ফেসবুক ৬৬ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ তথ্য সরবরাহ করে। গত আট বছরের মধ্যে সরকার এ বছরই ফেসবুকের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি তথ্য চেয়েছে।

নিজেকে প্রকাশসহ বিনোদনমূলক একটি প্ল্যাটফর্ম টিকটক। এখানে ছোট ভিডিও শেয়ার করা হয়। ভিডিওর বিষয়ে সরকারি সংস্থা আপত্তি করলে টিকটক কর্তৃপক্ষ নিজেদের কমিউনিটি গাইডলাইন অনুযায়ী তা পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেয়। ব্যবস্থা হিসেবে তারা ভিডিও সরিয়ে নেয়, নিষেধাজ্ঞা দেয়।

গত ২৯ নভেম্বর টিকটক প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ১ হাজার ৯২৩টি কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ পেয়েছে তারা। এর মধ্যে টিকটকের কমিউনিটি গাইডলাইন ভঙ্গ করায় ১৪৬টি কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের আইন ভঙ্গ করায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৫১৩টি কনটেন্টের ক্ষেত্রে। আর ১ হাজার ২৬৪টি কনটেন্টের ব্যাপারে টিকটক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

একই সময়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ৮০টি অ্যাকাউন্ট সরানোর অনুরোধ পেয়েছে টিকটক। এর মধ্যে টিকটকের নির্দেশনা ভঙ্গ করায় তারা ৫টি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের আইন ভঙ্গ করায় একটি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাকি ৭৪টির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সরকারের অনুরোধে টিকটক কর্তৃপক্ষের ভিডিও ও অ্যাকাউন্ট সরিয়ে নেওয়ার হার ৩৩ দশমিক ২ শতাংশ।

টিকটক গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ৫টি অনুরোধ পেয়েছিল, যার মধ্যে ১৬টি অ্যাকাউন্ট ছিল। গাইডলাইন ভঙ্গের অভিযোগে ছয়টি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় টিকটক। বাকি ১০টি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে টিকটকের ভিডিও সরিয়ে নেওয়ার হার ছিল ৩৮ শতাংশ।

দেশে টুইটারের ব্যবহার কম। সে হিসেবে এই মাধ্যমে সরকারের তথ্য চাওয়ার পরিমাণও তুলনামূলক কম। টুইটারের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে ১ টি, ২০২০ সালে ৩টি ও ২০১৯ সালে ২টি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকার তথ্য জানতে চেয়েছিল। তবে টুইটার কর্তৃপক্ষ সরকারের এ অনুরোধে সাড়া দেয়নি।

মার্কিন অলাভজনক গবেষণা সংস্থা ফ্রিডম হাউস প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের স্বাধীনতা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে থাকে। সংস্থাটির চলতি বছরের ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের স্কোর ৪৩।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ইন্টারনেট স্বাধীনতা কম। সরকার, মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে অনলাইন সমালোচনাকারীদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়। নিরাপত্তা সংস্থাগুলো নজরদারি সরঞ্জাম কেনার পেছনে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে।

ফ্রিডম হাউস আরও বলেছে, বিটিআরসি প্রস্তাবিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ প্রবিধান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটি) উপাত্ত সুরক্ষা আইন বাংলাদেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের আরও ঝুঁকিতে ফেলবে। বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ অনলাইন কনটেন্ট সেন্সর করার জন্য প্রযুক্তিগত সক্ষমতার পাশাপাশি আইনি কর্তৃত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশ ইন্টারনেট ফ্রিডম ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য মো. সাইমুম রেজা তালুকদার ডিজিটাল মাধ্যমে মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করার অধিকার নাগরিকদের সব সময় থাকতে হয়। নয়তো তা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয়ে ওঠে না। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা সংবিধানেই বলা আছে।

তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ডিনেট ও আইসোশ্যালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অনন্য রায়হান প্রথম আলোকে বলেন, সব দেশের সরকারই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবে। গণতান্ত্রিক ও সমাজকল্যাণমূলক রাষ্ট্রে নিয়ন্ত্রণের বিষয়গুলো সাধারণত নাগরিকের নিরাপত্তা-সুরক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত। অন্যদিকে কর্তৃত্ববাদী সরকারের নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য মূলত ভিন্নমত ও বিরোধী রাজনৈতিক মতাদর্শ দমন।

অনন্য রায়হান আরও বলেন, ‘গত এক দশকে আমাদের সরকারও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর শক্তি সম্পর্কে অনেক সচেতন হয়েছে। এই এক দশকে দেশে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভিন্নমতের প্রতি সহিষ্ণুতা কমেছে। যার প্রতিফলন ঘটেছে সরকারের সমালোচনা ও তথাকথিত মানহানির কনটেন্ট সরানোর প্রচেষ্টা বৃদ্ধিতে।

আরডিআর বলছে, বিগ টেক স্কোরকার্ডে প্রতিটি কোম্পানি সন্তোষজনক স্কোর অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক র‌্যাঙ্কিং ডিজিটাল রাইটসের (আরডিআর) ‘দ্য ২০২২ বিগ টেক স্কোরকার্ড’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে মানবাধিকার ও গোপনীয়তা রক্ষার ইস্যুতে ছাড় দিয়ে নিজেদের ব্যবসাকে প্রাধান্য দেয় টেক জায়ান্টরা। অনন্য রায়হান মনে করেন, কোনো দেশে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো কতটুকু আপস করবে, তা নির্ভর করে সে দেশে তার ব্যবসার পরিধির ওপর। বাংলাদেশের বাজার বড় হওয়ার কারণে এখানে প্ল্যাটফর্মগুলোর আপস করার সম্ভাবনা বেশি। বাংলাদেশ সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে পিছিয়ে রয়েছে। ডিজিটাল মাধ্যমের গণতান্ত্রিক ব্যবহারের স্বপ্ন থেকে বাংলাদেশ এখনো অনেক দূরে।

Share