সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বৃষ্টি মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছেন মানুষ

নিজস্ব জেলা প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে উপজেলার প্রায় চার হাজার মানুষ নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছেছেন। এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ দুপুর ১২টার পর দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা থেকে মানুষজনকে সরিয়ে শ্যামনগর সদরে নিয়ে যাওয়া শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি গাবুরার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আড়াই হাজার এবং পদ্মপুকুর ইউনিয়নের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে তোলা হয়েছে আরও এক হাজার মানুষকে।

শ্যামনগরের সুন্দরবন সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ এলাকার অসিম কুমার মন্ডল বলেন, আজ দুপুর ১২টা থেকে আধা ঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার পর এখন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। এলাকায় এলাকায় মাইকিং চলছে মানুষজনকে নিরাপদে চলে যেতে। সুন্দরবনের ভেতর মাওয়ালি ও নদীতে মাছ ধরার জেলেদেরও মাইকিং করে লোকালয়ে ফিরে আসার জন্য বলা হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন গতকাল সোমবার রাত ১০টা থেকে টানা তিন ঘণ্টা সুন্দরবন সংলগ্ন নীলডুমুর বিজিবি সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে। সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাংসদ এস এম জগলুল হায়দার, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, নীলডুমুর বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল আসাদুজ্জামান, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানেরা এতে অংশ নেন।

সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, গাবুরা থেকে থেকে পাঁচ হাজার মানুষ এবং পদ্মপুকুর থেকে আড়াই হাজার মানুষকে শ্যামনগর সদরে আনা হবে। সে অনুযায়ী আজ দুপুর থেকে পাঁচ শতাধিক মানুষ নিয়ে আসা হয়েছে।

সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন কর্মকর্তা এম এ হাসান বলেন, সুন্দরবনের ভেতরে কর্মরত বাওয়ালি ও জেলেদের গতকালই ফিরে আসার জন্য বলা হয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ ন ম আবুজর গিফারি বলেন, ইতিমধ্যে গাবুরা ও পদ্মপুকুর ইউনিয়নের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে চার হাজার মানুষ উঠেছে। লোকসংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। গাবুরা থেকে ইতিমধ্যে পাঁচ শতাধিক নারী, শিশু ও বৃদ্ধকে নিয়ে আসা হয়েছে শ্যামনগর সদরে। গাবুরা ও পদ্মপুকুর থেকে মানুষ নিরাপদ স্থানে নিতে পুলিশ বিজিবি, কোস্টগার্ড, স্বেচ্ছাসেবক ও জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছেন।

Share