নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : ‘বাংলাদেশি ফিল্ম সুপারস্টার’ লিখে গুগলে খুঁজলে কার নাম প্রথমে আসে জানেন, হিরো আলমের। এই সার্চে শুরুর বেশ কয়েকটি লিংক আসছে যেগুলো আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের। তার ‘সাহসী হিরো আলম’ ছবিটি এখন দেশের অর্ধশত সিনেমা হলে চলছে।
গুগল সার্চে হিরো আলমকে নিয়ে তৈরি করা দুটি কনটেন্ট প্রথমে দেখা যাচ্ছে। অবাক করার বিষয় হলো এই দুটির একটিও হিরো আলমের পেজ কিংবা ইউটিউব চ্যানেল থেকে পোস্ট করা হয়নি। দুটি চ্যানেলের একটিতে নিউজপয়েন্টটিভি চ্যানেল অ্যাবাউটে ‘ভারত সরকারের ডিজিটাল কনটেন্ট এজেন্সি’ লেখা আছে। এই চ্যানেল থেকে হিরো আলমকে নিয়ে তৈরি করা ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর।
রবিবার পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে এই ভিডিও। গুগলে আসা দ্বিতীয় লিংকটি খুশ বায়ারওয়া নামের এক যুবকের ব্যক্তিগত চ্যানেল। এই ভিডিওটির লোকেশনও দেখাচ্ছে ভারত।
নিজ খরচে বেশকিছু মজার ও মিউজিক ভিডিও বানিয়ে দেশব্যাপী পরিচিতি পেয়েছেন হিরো আলম। পরে ২০১৭ সালে ‘মার ছক্কা’ শিরোনামের একটি ছবিতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে হিরো আলম ঢুকে পড়েন চলচ্চিত্রেও। সেখানে তাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে দেখা যায়।
বড় পর্দায় আসার পর তাকে নিয়ে নানা সময়ে প্রচুর বিতর্ক ও সমালোচনা হয়। প্রশ্ন উঠেছে তার কথা বলার ধরন, ভাষা, চেহারা, উচ্চতা এবং অভিনয় দক্ষতা নিয়ে। কিন্তু কোনো কিছুকেই পরোয়া করেননি বগুড়ার এই ছেলে। তার অভিনীত দ্বিতীয় ছবি ‘সাহসী হিরো আলম’-এর প্রযোজকও তিনি।
সিনেমার মতোই হিরো আলমের অতীত। বগুড়া সদরে একসময়ের সিডি বিক্রেতা আলম এখন ঢাকায় বসত গড়েছেন। নিজের নামের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ‘হিরো’। তার অঙ্গভঙ্গি অনেকটা কৌতুক অভিনেতার মতো হলেও তিনি নিজেকে ‘হিরো’ বলেই পরিচয় দেন।