২৯ দিনে এলো ১৯ হাজার ৯৬৬ কোটি১০ লাখ টাকার রেমিট্যান্স

গাজী আবু বকর : চলতি মার্চ মাসের ২৯ দিনে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে ১ দশমিক ৮১ বিলিয়ন অর্থাৎ ১৮১ কোটি ৫১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ডলার ১১০ টাকা হিসাবে যার পরিমাণ ১৯ হাজার ৯৬৬ কোটি ১০ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে এসেছে ৬ কোটি ২৫ লাখ ডলার।

গতকাল বৃহষ্পতিবার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। রেমিট্যান্স প্রবাহের ধারা বিশ্লেষনে দেখা যায় যে, মাস শেষে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলার হবেনা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি মাস মার্চের ২৯ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৮১ কোটি ৫১ লাখ ডলার এসেছে। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার বা ২ হাজার ৫০২ কোটি ৫০ লাখ টাকা, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৩০ হাজার মার্কিন ডলার বা ৩৩৩ কোটি টাকার বেশি। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৫৪ কোটি ৯৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার বা ১৭ হাজার ৪৭ কোটি টাকা এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭৪ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার বা ৮১৭ কোটি টাকা।

আলোচিত সময়ের মধ্যে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৮টি। তার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল ও বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, ও আইসিবি ব্যাংক। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, হাবিব ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ব্যাংক।

এর আগে সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসের পুরো সময়ে বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রবাসীরা মোট ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার বা ২৩ হাজার ৮২৬ কোটি টাকার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০১ কোটি ডলার বা ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার বা ২২ হাজার ১১০ কোটি টাকা।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর মাসে ১৯৩ কোটি ডলার আর বিদায়ী বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে প্রবাসীরা ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার বা ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন।

Share