দ্বিতীয় স্ত্রীর ধর্ষণ মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকের জামিন

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক জামিন পেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল শুনানি শেষে জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

মামুনুল হকের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে জামিন শুনানিকালে মামুনুল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, ‘আমরা আদালতে মামুনুল হকের জামিনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছি। মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট আদালতে তুলে ধরেছি। রিপোর্টে বাদী বলেছেন, স্বেচ্ছায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। মামুনুল হকের সঙ্গে তাঁর বিয়ের সম্পর্ক চলমান। এ ছাড়া বাদীর ছেলে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাঁর মায়ের সঙ্গে মামুনুল হকের বিয়ে হয়েছে। আসামি দীর্ঘ তিন বছর হাজতবাস করেছেন—এসব কিছু বিবেচনায় নিয়ে শুনানি শেষে বিচারক আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন।

এ বিষয়ে আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে মামুনুল হক ও তাঁর কথিত স্ত্রীকে অবরুদ্ধ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। পরে খবর পয়ে পুলিশ গিয়ে ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজত ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাঁদের ছিনিয়ে নেয়। ওই ঘটনার ১৫ দিন পর মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

রয়েল রিসোর্ট–কাণ্ডের ২৭ দিন পর ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে ওই নারী বাদী হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। ২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল ধর্ষণের মামলায় অভিযোগ গঠন করেন।

Share