নয়াবার্তা প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২২ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। বঙ্গভবনে নতুন সরকারের মন্ত্রীদের শপথের মধ্য দিয়ে তাদের অভিষেক হয়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ পড়ান। এর আগে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করেন শেখ হাসিনা। তাকেও শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি।
গত ৭ জানুয়ারি সারা দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবারও নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে। আওয়ামী লীগ ২২২টি আসন এবং স্বতন্ত্র ৬২টি আসন, জাতীয় পার্টি ১১টি আসন, শরিকজোট ২টি আসন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি আসন পায়।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। বঙ্গভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া ২৫ পূর্ণ মন্ত্রীদের মধ্যে আ ক ম মোজাম্মেল হককে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ওবায়দুল কাদেরকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে অর্থ মন্ত্রণালয়, আনিসুল হককে আইন মন্ত্রণালয়, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনকে শিল্প মন্ত্রণালয়, আসাদুজ্জামান খানকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মো. তাজুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, মুহাম্মদ ফারুক খানকে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়, মোহাম্মদ হাছান মাহমুদকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দীপু মনিকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, সাধন চন্দ্র মজুমদারকে খাদ্য মন্ত্রণালয়, আবদুস সালামকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, মো. ফরিদুল হক খানকে ধর্ম মন্ত্রণালয়, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে ভূমি মন্ত্রণালয়, জাহাঙ্গীর কবির নানককে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, মো. আবদুর রহমানকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মো. আবদুস শহীদকে কৃষি মন্ত্রণালয়, ইয়াফেস ওসমানকে (টেকনোক্র্যাট) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, সামন্ত লাল সেনকে (টেকনোক্র্যাট) স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, মো. জিল্লুল হাকিমকে রেলপথ মন্ত্রণালয়, ফরহাদ হোসেনকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, নাজমুল হাসানকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, সাবের হোসেন চৌধুরীকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়, এবং মহিবুল হাসান চৌধুরীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দায়িত্ব পাওয়া ১১ প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে নসরুল হামিদকে বিদ্যুৎ বিভাগ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জুনাইদ আহমেদকে ডাক, টেলি যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, জাহিদ ফারুককে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সিমিন হোসেন রিমিকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মহিববুর রহমানকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, শফিকুর রহমান চৌধুরীকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, রুমানা আলীকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আহসানুল ইসলামকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।