পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টুকে আইনি নোটিশ

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ এনে চলচ্চিত্র নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টুকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও গণমাধ্যমকর্মী এটিএম মাকসুদুল হক ইমু। তিনি অভিযোগ করেছেন, ঝন্টু পরিচালিত ‘বীর সৈনিক’ সিনেমায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে।

সকল মাধ্যমে এই চলচ্চিত্রের প্রচার ও প্রদর্শন স্থগিত চেয়েছে ইমু অভিযোগ করেছেন, সিনেমাটিতে কোথাও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ করা হয়নি এবং মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই সিনেমার কোথাও ৭ মার্চের উল্লেখ নেই। এসএস মাল্টিমিডিয়ার ইউটিউবে সিনেমাটি প্রকাশ করা হয়েছে। সিনেমায় অভিনেতা যখন ৭ মার্চের কথা বলেন, ঠিক সেখান থেকেই কিছু অংশ কেটে ফেলা হয়েছে- যা স্পষ্ট দৃশ্যমান এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

অভিযোগে ইমু প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘‘১৯৭১ সালে ৭ মার্চের কি কোনো গুরুত্ব ছিলো না? নাকি ৭ মার্চ না এসেই হঠাৎ করে ২৬ মার্চ এসেছিল? এই সিনেমার সবচেয়ে বিকৃত ও বাজে দৃশ্য হলো, একটি জায়গায় নায়ক মান্নাকে এক অভিনেতা বলছেন— ‘চিটাগাং রেডিওতে আমাদের বাঙালি মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।’ এর মানে পরিচালক বলতে চাইছেন— ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া’! এটা কি ইতিহাসের বিকৃতি নয়?’’

ছবিটির কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্য করেছেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। ছবিটি লাভা মুভিজ নামের একটি চ্যানেলে গত বছর আপলোড করা হয়েছে। ২০০৩ সালে বিএনপি সরকারের সময়ে ছবিটি মুক্তি পায়।

এছাড়াও ইমু এ প্রসঙ্গে জানতে এসএস মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক এম এন ইস্পাহানীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন এবং তাকে বিতর্কিত অংশটুকু সিনেমা থেকে বাদ দিয়ে ইউটিউবে পুনরায় মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তা করা হয়নি। সিনেমাটির এই বিভ্রান্তিমূলক অংশের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মসহ তরুণ প্রজন্ম মারাত্মকভাবে বিভ্রান্তির শিকার হবে বলে মনে করেন এই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।

বিষয়টি জানতে দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।

Share