প্রেমিকের মৃত্যুর পর যেভাবে মিলিন্দের সঙ্গে দেখা হয় অঙ্কিতার


নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : “আমার বয়ফ্রেন্ডের হঠাৎ মৃত্যুর পর আমি দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেই। এরপর মালয়েশিয়ায় এয়ার এশিয়াতে কেবিন ক্রু হিসেবে কাজ শুরু করি। কিন্তু দুই মাস পর চেন্নাইতে আমার পোস্টিং হয়। সেখানে গিয়ে আমার সহকর্মীদের সঙ্গে হোটেলে থাকতাম। একদিন হোটেলের লবিতে লম্বা এক পুরুষকে দেখতে পেলাম। আর সেটি ছিলো মিলিন্দ সোমান! আমি সবসময় তার ভক্ত ছিলাম! তাই তার সঙ্গে কথা বলতে যাই তখন। কিন্তু তিনি খুব ব্যস্ত ছিলেন সেসময়। কিছুদিন পর ওই হোটেলের নাইটক্লাবে আবার তার সঙ্গে দেখা হয়। তবে এবার আমি নিজে থেকে কোনো কথা বলিনি শুধু চুপিচুপি তাকে দেখছিলাম। এক পর্যায়ে দেখলাম তিনিও মাঝে মধ্যে আমার দিকে তাকাচ্ছেন। পরে আমার বন্ধুরা তার সঙ্গে কথা বলার জন্য জোর করলে তাকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করি তিনি আমার সঙ্গে ড্যান্স করবেন কিনা। তিনিও সম্মতি জানান। সে যেনো এক অন্যরকম অনুভূতি ছিলো আমার কাছে।”

মিলিন্দ সোমান ও অঙ্কিতা কোনওয়ার
“মিলিন্দের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করতে চাইছিলাম না আমি। তাই আমি সরে আসি। ভেবেছিলাম তিনি আমাকে ভুলে গিয়েছেন। কিন্তু আমার ধারনা ভুল প্রমাণিত করে তিনি ‍শিগগিরই খুঁজে বের করলেন আমায়। নাম্বার চাইলেন। তবে সেসময় নতুন নাম্বার নেওয়ায় তাকে দিতে পারিনি। সেই মুহূর্তে ফোনটিও আমার কাছে ছিলো না। পরে তিনি তার নাম্বারটি আমার বন্ধুকে দিয়ে যান এবং পরে আমাকে ম্যাসেজ পাঠাতে বলেন। বেশ কিছুদিন পার হয়ে যাওয়ার পরও আমি কোনওভাবে তাকে আমার মন থেকে মুছে ফেলতে পারছিলাম না। তাকে একটি ম্যাসেজ পাঠিয়ে দেই এবং তার সঙ্গে একদিন ডিনারে যাই। এরপর আমরা নিয়মিত দেখা করতে থাকি।”

“বহুবার দেখা করার পরও মিলিন্দের সঙ্গে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে যুক্ত করতে পারছিলাম না। কারণ আমার অতীত। একদিন তাকে সাহস করে আমার বয়ফ্রেন্ডের কথা জানালাম এবং তাকে কোনদিন ভুলতে পারবো না সেটিও। এরপর তিনি আমাকে বলেন, “আমি যখন তোমাকে ভালোবেসেছি তোমার সবটা নিয়েই বেসেছি। এমনকি তুমি অতীতের যে বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছো সেগুলোসহ। তাই ভয় পেও না। আমরা এখন একসঙ্গে আছি।”

“পাঁচ বছর মন দেওয়া-নেওয়ার পর আমরা বিয়ে সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু আমার পরিবার ও ঘনিষ্ঠ কয়েকজন আমাদের বয়সের ব্যবধান নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। কিন্তু তারা যখন দেখলেন আমরা দু’জন একসঙ্গে সুখে আছি তারা বিয়েতে সম্মতি জানালেন।”

“বিশ্বাস করুন আর না করুন আমরা তিনবার বিয়ে করেছি। প্রথমুট আলিবাগে, দ্বিতীয়টি স্পেনে এবং তৃতীয়টি এমন একটি জায়গা যেটিকে ‘দ্য এন্ড অব ওয়ার্ল্ড’ বলা হয়। আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ জিনিসগুলোর একজন তিনি। আমাকে ভালোবাসতে ও সুখী থাকতে শিখিয়েছেন তিনি। আমাদের অ্যাডভেঞ্চার তো সবেমাত্র শুরু হয়েছে। আমার জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকতে চাই।”

আজ (৪ নভেম্বর) ৫৫ বছরে পা দিয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় মডেল-অভিনেতা মিলিন্দ সোমান। স্বামীর জীবনের বিশেষ এই দিনটিতে ভালোবাসার গল্প সকলের সঙ্গে শেয়ার করেছেন অঙ্কিতা কোনওয়ার।

নিজের ৫৫তম জন্মদিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি শেয়ার করেছেন মিলিন্দ সোমান। যেখানে অনাবৃত হয়ে স্ত্রীর ক্যামেরায় ধরা দিয়েছেন তিনি। এর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন- ‘হ্যাপি বার্থডে টু মি।’

Share