শাকিব খানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী প্রযোজকের ধর্ষণের অভিযোগ

বিনোদন প্রতিবেদক : ঢাকায় চলচ্চিত্রাভিনেতা শাকিব খানের বিরুদ্ধে অনিয়ম, মিথ্যা আশ্বাস ও ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছেন রহমত উল্লাহ নামের এক প্রযোজক। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগটি দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার বিকেলে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাঙালি এই প্রযোজক সশরীরে ঢাকার এফডিসিতে উপস্থিত হয়ে এ অভিযোগপত্র দিয়েছেন। রহমত উল্লাহর দাবি, ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিংকালে এসব অনিয়ম ঘটে। যদিও ছবিটি এখনো নির্মাণ শেষ হয়নি।

“নির্মাণাধীন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ (২০১৭) সিনেমায় অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস, ধর্ষণ (মামলা নং: NSW Police reference no: E 62494959) এবং পেশাগত অবহেলার মাধ্যমে চলচ্চিত্রটির ক্ষতি সাধন চলচ্চিত্রের শুটিং সম্পন্ন করতে অথবা লগ্নিকৃত অর্থ ফিরিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে অভিযোগ করেছেন,” অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন সিনেমাটির প্রযোজক।

সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, “২০১৭ সালে পূর্ব চুক্তি অনুযায়ী অভিনেতা শাকিব খান ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ নামক সিনেমার কাজে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। আমি সেই চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রযোজক। তার মতো একজন বিখ্যাত অভিনেতাকে নিজের চলচ্চিত্রে অভিনয় করাতে পারব জেনে পুলকিত ছিলাম। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেলে ব্যবসা সফল হবে সেই বিশ্বাস ছিল। ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ মুক্তি পেলে সেটি হতো অস্ট্রেলিয়ায় অভিনীত প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্র। আমার এবং এটার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার আশা ছিল, সিনেমাটির হাত ধরে অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্কে নতুন একটি অধ্যায় রচিত হবে।”

শাকিব খানের বিরুদ্ধে রহমত উল্লাহ যেসব অভিযোগ এনেছেন সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নেয়া সত্ত্বেও কোনো রকমের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই শুটিং বাতিল করা, খাওয়া-দাওয়া নিয়ে বাড়াবাড়ি, শুটিংয়ে সঠিক সময়ে উপস্থিত না হওয়া।

শুধু তাই নয়, তার যৌন জীবন নিয়েও অভিযোগ এনেছেন এই প্রযোজক। এমনকি ছবির একজন সহ-প্রযোজককে যৌন নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেছেন। অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে, ‘একবার তিনি আমাদের একজন নারী সহ-প্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী এই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। নির্যাতিতা তখন এই ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। নির্যাতিতা নিজেও একজন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত নারী। আমি সেই ফৌজদারি অভিযোগের সাক্ষী ছিলাম।’

এই অভিযোগের বিষয়ে অভিনেতা শাকিব খানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল ধরেননি। ছবির পরিচালক আশিকুর রহমানের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী হওয়ায় তাকেও পাওয়া যায়নি।

Share