চলচ্চিত্রে ওটিটির বছর হবে ২০২২

নয়াবার্তা প্রতিবেদক : ২০২১ সালের অর্ধেকটা সময় গেছে করোনার স্থবিরতায়। বাকি অর্ধেক সময় সচল হতে না হতেই চলচ্চিত্রের পালে নতুন হাওয়া বইতে শুরু করেছে। তবে নতুন বছরটা যে ওটিটির হতে চলেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। সেই ভাবনায় তারকা শিল্পীরাও এখন অনলাইন, ডিজিটাল প্লাটফর্মে মেতেছেন।

এ বছরের চলচ্চিত্রের সফলতার অঙ্ক এখন তাই সিনেমা হল নয়, ওটিটিসহ ডিজিটাল রাইটস থেকে বিক্রি করেই এর লগ্নি ওঠাতে হয়। গত বছর পাশ্চাত্যের অন্যতম বড় ঘটনা ছিল কয়েকশ’ কোটি ডলারে বন্ড মুভির স্বত্ব কিনে নেয় অ্যামাজন প্রাইম। এছাড়া অধিকাংশ ছবি ব্যবসা নির্ভর ছিল একাধিক ওটিটি প্লাটফর্মের ওপরে। অন্যদিকে রোহিত শেঠির ছবি সূর্যবংশী টানা ৯ মাস রিলিজ দেয়নি সিনেমা হলে মুক্তি দেবে বলে। সে সময় নেটফ্লিক্স চড়া মূল্যে ছবিটি কিনে নিতে চাইলেও প্রযোজনা সংস্থা ছবিটি বিক্রি করতে রাজি হয়নি। করোনা পরিস্হিতি খানিকটা শিথিল হলে রোহিত শেঠির ছবিটি রিলিজ দিলেও হলে মুখ থুবড়ে পড়ে। পরে তড়িঘড়ি করে সেই নেটফ্লিক্স থেকেই ছবির লগ্নি ওঠাতে হয়। এর সঙ্গে অন্যান্য ডিজিটাল আয় উপার্জন তো রয়েছেই। তাই গোটা বিশ্বেই অনেক সিনেমা হল হয়ে যাচ্ছে ক্রিকেটের দামি সুভ্যেনিয়র ব্যাটের মতো। বিলুপ্ত হবে না। বরং আরো চৌকস সিনেপ্লেক্স হিসেবে এর আলাদা গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হবে। কিন্তু ছবির মূল ব্যবসা ও লগ্নি ওঠাতে ওটিটির বিকল্প নেই এখন আর।

আমাদের দেশে স্বাধীনতার ৫০ বছরেও ব্লকবাস্টারে কত লগ্নি বা কত আয় হলো তার স্বচ্ছ হিসেবে প্রকাশের কোনো ব্যবস্থা রইল না। তবুও আলোচিত ও প্রশংসিত ছবির তালিকায় রয়েছে বেশ কতগুলো। ক্যারিয়ারে ২০২১ সালটি বাঁধাই করে রাখতে পারেন আরেফিন শুভ। বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে তার কাজ প্রায় শেষের দিকে। অন্যদিকে বিগবাজেট মুভি মিশন এক্সট্রিমও রিলিজ পেল। আর চিত্রনায়িকা হিসেবে অনেকটা স্বপ্নের মতো বছর পেলেন আজমেরী হক বাঁধন। ভাগ্য যে নিজের স্বপ্ন কল্পনাকেও হার মানায় এবারে তারই যেন প্রমাণ দিলেন বাঁধন। ছবির আর্থিক বাণিজ্যেও হিসেবে নয়, রেহানা মরিয়ম নূর এ সবকিছু ছাপিয়ে সাফল্যের মাখনটুকু পেয়েছেন একা বাঁধন। নতুন বছরে এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখাটাই তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ২০২১ পেরিয়ে যে ধরনের টাইটেলে আমরা তারকাদের সালতামামিকে সাজাতে পারি:

Share