ছাত্রী অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩

জেলা প্রতিনিধি : ফরিদপুরের ভাঙ্গায় প্রচেষ্টা পরিবহনের একটি বাস থেকে এক মাদরাসা ছাত্রীকে (১৬) অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এ মামলার এজাহারভুক্ত ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

গত সোমবার (৩১ জুলাই) সকালে ওই কিশোরীকে ভাঙ্গা পৌর সদরের কাপুড়িয়া সদরদী মহল্লা থেকে উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানার পুলিশ।

এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে সোমবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় ভাঙ্গা থানায় একটি অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- প্রচেষ্টা পরিবহণ বাসের হেলপার রাকিব মাতুব্বর ইমন (২৪), বাসের সুপার ভাইজার আসিফ সরদার ( ২১ ) ও রাকিব মাতুব্বরের মা লিলি বেগম (৫০)।

কিশোরীকে মঙ্গলবার ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

ঐ কিশোরীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কিশোরী ঢাকায় তার বোনের সঙ্গে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। পড়াশোনা করতেন সেখানের একটি মাদরাসায়। গত রোববার (৩০ জুলাই) বিকেলে ঢাকা থেকে ভাঙ্গায় বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে তাকে একাই ঢাকার বাবুবাজার সেতুর ওপর থেকে ভাঙ্গাগামী প্রচেষ্টা পরিবহনের একটি বাসে উঠিয়ে দেন তার স্বজনরা। ওই সময় স্বজনরা গাড়ির নম্বর, সুপারভাইজার ও হেলপারের মোবাইল নাম্বার রেখে তাদেরকে অনুরোধ করেন ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিতে। ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে তার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন কিশোরীর বাবা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে না পৌঁছালে তার বাবা চিন্তায় পরে যান। পরে এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে বিষয়টি থানায় জানান।

ভাঙ্গা থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) জুয়েল মিয়া জানান, আটককৃত সুপারভাইজার আসিফকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বর্ণনা মতে, ভাঙ্গা পৌরসভার কাপুড়িয়া সদরদী এলাকা থেকে ওই বাসের হেলপার রাকিবের বাসা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় রাকিব ও তার মা লিলি বেগমকে আটক করা হয়।

ভাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম জানান, মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য ফরিদপুরের শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালিত ও সিসিতে (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) পাঠানো হয়েছে।

Share