ঠেকায় না পড়লে কেউ কবির সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করে না

নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : শুধু দুই বাংলা নয়, বিশ্ব বাঙালির কাছেও সমান জনপ্রিয় কবীর সুমনের গান। গানের মাধ্যমে যেমন প্রেমের কথা বলেছেন তেমনি প্রতিবাদের ভাষা হিসেবেও গানকে বেছে নিয়েছেন কলকাতার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কবির সুমন। রাজনীতি, অভিনয়, লেখা লেখিতেও রয়েছে তার সৃজনশীলতার পরিচয়। বাংলা গানের জীবনমুখী ঘরানার কিংবদন্তি এই শিল্পী এবার গাইলেন বাংলাদেশের সিনেমা ‘প্রীতিলতা’র জন্য।

গোলাম রাব্বানীর চিত্রনাট্য ও সংলাপে রাশিদ পলাশের পরিচালনায় নির্মিতব্য ‘প্রীতিলতা’র জন্য ‘একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি/ হাসি হাসি পরব ফাঁসি দেখবে ভারতবাসী।’ গানটি নতুন করে গাইবেন কবীর সুমন।

ভারতের লোককবি পীতাম্বর দাস গানটির রচনা ও সুর করেন। তবে কেউ কেউ মনে করেন গানটি মুকুন্দ দাসের। ১৯৬৬ সালে ‘সুভাষচন্দ্র’ চলচ্চিত্রে লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠে গানটি প্রথম ব্যবহার হয়েছিল। এরপর অনেক শিল্পী গানটি করেছেন। তবে কবীর সুমন প্রথমবারের মতো গাইছেন।

এক ভিডিওবার্তায় গতকাল কবীর সুমন বলেন, ‘কিছু দিন আগে বাংলাদেশ থেকে রাশিদ পলাশ আমাকে ফোন করেন এবং জানান যে, তারা কয়েকজন মিলে শহীদ প্রীতিলতাকে নিয়ে চলচ্চিত্র বানাচ্ছেন। আমাকে একটি গান করতে বলেন। আমি প্রীতিলতা চলচ্চিত্রের জন্য ‘একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি’ গানটি গাইব। আমাকে এ গানটির জন্য স্মরণ করায় গর্ববোধ করছি। আমি প্রাণ খুলে চাই ছবিটা সার্থক হোক। লোকে ছবিটা দেখুক।’

তিনি আরও বলেন, প্রীতিলতাকে ছবি হচ্ছে বাংলাদেশে।সেই ছবির গানের জন্য বাংলাদেশ থেকে অপরিচিত একজন যুবক স্মরণ করবেন, এটা আমি ভাবতেই পারিনি। আমার চোখে জল এসে যাচ্ছে। যে দেশে থাকি, সে দেশে আমি খুব একটা গ্রহণযোগ্য মানুষ নই, কোনো দিন ছিলামও না। এখানে ঠেকায় না পড়লে আমায় কেউ খুব একটা সুযোগ দেয়নি। যখন দেখে আমাকেই দরকার, তখন আসে। এ ছাড়া কেউ আমার ধারেকাছে আসে না। এটা নিয়ে আমার কোনো আক্ষেপ নেই।

প্রীতিলতা চরিত্রে এই ছবিতে অভিনয় করছেন পরীমনি। অন্যান্য চরিত্রের শিল্পী নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে। ছবিটির কসটিউম ডিজাইনার হিসেবে কাজ করছেন বিবি রাসেল। ইউফরসির ব্যানারে আগামী ১ নভেম্বর থেকে ঢাকায় ছবিটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ঢাকার অংশ শেষ করে চট্টগ্রামে এই ছবির শুটিং হবে বলে জানান নির্মাতা।

Share