নেত্রকোনায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল সাতজনের

নিজস্ব জেলা প্রতিবেদক : নেত্রকোনায় বজ্রপাতে দুই কৃষকসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার জেলার কেন্দুয়া, খালিয়াজুরি ও মদন উপজেলায় ঝড়–বৃষ্টির সময় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন কেন্দুয়ার পাইকুড়া ইউনিয়নের বৈরাটী গ্রামের মো. বায়েজিদ মিয়া (৪২) ও কান্দিউড়া ইউনিয়নের কুণ্ডলী গ্রামের মো. ফজলুর রহমান (৫৫), খালিয়াজুরির মেন্দিপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের আছেক মিয়া (৩২), বিপুল মিয়া (২৮) ও গাজিপুর ইউনিয়নের বাতুয়াল গ্রামের এক যুবক (৩৫)। এ প্রতিবেদন লেখা পযন্ত তাঁর নাম জানা যায়নি। আর মদনের পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের মৃত মো. আবদুর মন্নাফের ছেলে মো. আতাউর রহমান (২২) ও মৃত আবদুল কাদিরের ছেলে মো. শরিফ মিয়া (১৭)।

এলাকাবাসী ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে কৃষক বায়েজিদ মিয়া ও ফজলুর রহমান তাঁদের নিজ নিজ বাড়ির সামনে সবজিখেত ও ধানখেতে কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। একপর্যায়ে বজ্রপাতে তাঁদের শরীর ঝলসে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। একই সময় খালিয়াজুরির বাতুয়াল এলাকায় সাত যুবক বৃষ্টির মধ্যে হাওরে মাছ ধরছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে তাঁরা আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন পাশের মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আর চার যুবককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বেলা সোয়া তিনটার দিকে মদনের পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের সামনে মাঠে বৃষ্টির মধ্যে কয়েকজন কিশোর ও যুবক ফুটবল খেলছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাতে দুজন মারা যান। আর চারজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘স্বজনেরা নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাফনের জন্য প্রতি পরিবারকে নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।’

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় বজ্রপাতে আজ মঙ্গলবার আবু তাহের (৩৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। একই দিন ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে আতিকুল ইসলাম (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।

দোয়ারাবাজার থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের তেগাঙ্গা গ্রামের তাজ উদ্দিনের ছেলে আবু তাহের আজ বেলা তিনটার দিকে নিজের বাড়ি থেকে উপজেলা সদর বাজারে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঝোড়ো বাতাস ও প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হলে তিনি সড়ক থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতর আশ্রয় নিতে দৌড় দেন। তখন আকস্মিক বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বজ্রপাতে নিহত আজিজুল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের খলিশাজান গ্রামের আজমত আলীর ছেলে। আজ বেলা দুইটার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের খলিশাজান গ্রামের খোলা মাঠে কয়েকজন যুবক ফুটবল খেলছিলেন। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে আতিকুল ইসলামসহ দুজন আহত হন। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর আতিকুল মারা যান। আহত অপরজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

Share