সেন্ট মার্টিনে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস

নয়াবার্তা প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাত ৪টার দিকে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, ‘এখন পর্যন্ত সবাই নিরাপদে আছে। অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। বৃষ্টি হচ্ছে।’

সেন্ট মার্টিন থেকে তৌহিদুল ইসলাম নামের এক তরুণ এই প্রতিবেদককে জানান, ‘বেশ কিছুক্ষণ যাবৎ সেখানে বিদ্যুৎ নেই। তারা আশ্রয়কেন্দ্রে অন্ধকারে বসে আছেন। মোবাইল ফোনের চার্জও প্রায় শেষের পথে। বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে সবার মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।’

এর আগে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের প্রভাব শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার দিবাগত রাত ২টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হবে। রবিববার (১৪ মে) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।

Share